ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৩২১ জনে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন।
আজ শনিবার (৩১ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে বলেছে, “নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
এদিকে সম্প্রতি গাজায় ফের দু’মাসের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রস্তাবনায় নেতানিয়াহু সম্মতি দিলেও হামাস এখন অনুমোদন করেনি। এই যুদ্ধবিরতির অধীনে প্রথম সপ্তাহে জীবিত ও মৃতসহ ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আর জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে এক হাজার ২৩৬ জন কারাবন্দি এবং ১৮০ জন নিহত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দিয়েছেন। যদি হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং স্বাক্ষর করে তাহলে দ্রুতই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে। জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং আগ্রহী অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হবে।