ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা Logo ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo ‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি

দুই ছাত্রীকে প্রোগ্রামে না যাওয়ায় রুম ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রদল নেত্রীর

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় দুই মেয়ে শিক্ষার্থীকে রুম ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত ছাত্রদল নেত্রী তাহসিন আক্তার মুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।

এ সংক্রান্ত মেসেজের একাধিক স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, ১৬-১৭ সেশনের রূপা রহমান ও ২২-২৩ সেশনের উম্মে সুমাইয়া সুপ্তি।

রূপা রহমান জানান, ‘গত ১ মে থেকে আমাকে ও আমার রুমমেট উম্মে সুমাইয়া সুপ্তিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছেন তাহসিন আক্তার মুন। তিনি আমাদের বলেন, ‘ক্লাস করা লাগবে না, প্রোগ্রামে চল। স্যার ক্লাসে প্রেজেন্ট দিয়ে দিবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন সময়ে বলতেন, আমাদের রুম অন্যদের নামে বরাদ্দ হয়ে গেছে।

এমনকি ১৫ তারিখের আগেই রুম ছেড়ে গণরুম বা অন্য কোথাও উঠতে বলেন। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় তিনি আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।’ একই রুমের অন্য ভুক্তভোগী উম্মে সুমাইয়া সুপ্তি অভিযোগ করেন, ‘তাহসিন আক্তার মুন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে যেতে আমাদের চাপ দিয়ে আসছেন। পরীক্ষার আগের দিনও তিনি আমাদের প্রোগ্রামে ডাকতেন।

আমি না গেলে আমাকে বেয়াদব আখ্যা দেন এবং সিনিয়রদের মাধ্যমে আমাকে প্রোগ্রামে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।’
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ছাত্রলীগের আগের যুগ ফিরে এসেছে। ছাত্রলীগও একইভাবে প্রোগ্রামে ডাকত। তারা ক্ষমতায় আসার আগেই যা করছে, ক্ষমতায় আসলে যে কি করবে! তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন প্রোগ্রামে যাওয়া নিয়ে এ ধরনের প্রেশার এখনই যেন বন্ধ হয়।’

এ বিষয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বেগম সৈয়দুন্নেছা হলের প্রভোস্ট বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ছাত্রদল নেত্রী তাহসিন আক্তার মুন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ৩১৪ নং রুমের রুপা এবং সুপ্তিকে অন্য রুমে চলে যেতে বলেছি। ওই রুমে ৪ দুইজন ১৭ ব্যাচের, তারা ছাত্রলীগের পোস্টেড ছিল। প্রভোস্ট ম্যাডাম এই রুমগুলো ফ্যাকাল্টির টপ স্টুডেন্টদের দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি ভুল করেছি — ম্যাডামের অনুমতি ছাড়া রুম ছাড়ার কথা বলা ঠিক হয়নি, এজন্য আমি দুঃখিত।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ

দুই ছাত্রীকে প্রোগ্রামে না যাওয়ায় রুম ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রদল নেত্রীর

আপডেট সময় ১০:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় দুই মেয়ে শিক্ষার্থীকে রুম ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত ছাত্রদল নেত্রী তাহসিন আক্তার মুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।

এ সংক্রান্ত মেসেজের একাধিক স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, ১৬-১৭ সেশনের রূপা রহমান ও ২২-২৩ সেশনের উম্মে সুমাইয়া সুপ্তি।

রূপা রহমান জানান, ‘গত ১ মে থেকে আমাকে ও আমার রুমমেট উম্মে সুমাইয়া সুপ্তিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছেন তাহসিন আক্তার মুন। তিনি আমাদের বলেন, ‘ক্লাস করা লাগবে না, প্রোগ্রামে চল। স্যার ক্লাসে প্রেজেন্ট দিয়ে দিবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন সময়ে বলতেন, আমাদের রুম অন্যদের নামে বরাদ্দ হয়ে গেছে।

এমনকি ১৫ তারিখের আগেই রুম ছেড়ে গণরুম বা অন্য কোথাও উঠতে বলেন। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় তিনি আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।’ একই রুমের অন্য ভুক্তভোগী উম্মে সুমাইয়া সুপ্তি অভিযোগ করেন, ‘তাহসিন আক্তার মুন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে যেতে আমাদের চাপ দিয়ে আসছেন। পরীক্ষার আগের দিনও তিনি আমাদের প্রোগ্রামে ডাকতেন।

আমি না গেলে আমাকে বেয়াদব আখ্যা দেন এবং সিনিয়রদের মাধ্যমে আমাকে প্রোগ্রামে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।’
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ছাত্রলীগের আগের যুগ ফিরে এসেছে। ছাত্রলীগও একইভাবে প্রোগ্রামে ডাকত। তারা ক্ষমতায় আসার আগেই যা করছে, ক্ষমতায় আসলে যে কি করবে! তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন প্রোগ্রামে যাওয়া নিয়ে এ ধরনের প্রেশার এখনই যেন বন্ধ হয়।’

এ বিষয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বেগম সৈয়দুন্নেছা হলের প্রভোস্ট বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ছাত্রদল নেত্রী তাহসিন আক্তার মুন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ৩১৪ নং রুমের রুপা এবং সুপ্তিকে অন্য রুমে চলে যেতে বলেছি। ওই রুমে ৪ দুইজন ১৭ ব্যাচের, তারা ছাত্রলীগের পোস্টেড ছিল। প্রভোস্ট ম্যাডাম এই রুমগুলো ফ্যাকাল্টির টপ স্টুডেন্টদের দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি ভুল করেছি — ম্যাডামের অনুমতি ছাড়া রুম ছাড়ার কথা বলা ঠিক হয়নি, এজন্য আমি দুঃখিত।