বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ শুক্রবার (৩০ মে) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে বিসিবির জরুরি সভায় তাকে দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ এই পদে নির্বাচিত করেন পরিচালকরা।
এর আগে, বুলবুলকে পরিচালক পদে মনোনয়ন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদে মনোনয়ন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল এনএসসি।
এরও আগে, বৃহস্পতিবার সকালে চাউর হয়, বিসিবির শীর্ষপদে ফারুককে আর দেখতে চায় না সরকার। মূলত ফারুকের কথার সূত্র ধরেই এই আলোচনার মাত্রা ছাড়ায়। যেখানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিসিবি সভাপতির পদে পরিবর্তন চান বলে উল্লেখ করেন ফারুক। যদিও সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফারুক নিজেই জানিয়েছিলেন, পদত্যাগ করছেন না তিনি।
তবে সন্ধ্যায় আরেক বিস্ফোরক তথ্য জনসম্মুখে আসে—ফারুকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে অনাস্থার চিঠি পাঠান বিসিবির ১০ পরিচালকের ৮ জন।
এরপরই নিশ্চিত হয়ে যায়, ফারুক আহমেদের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঘটনাক্রমে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানায়, ফারুক আহমেদের বিসিবি পরিচালক পদে থাকা মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে তিনি পরিচালক হন, সেই প্রক্রিয়াই প্রত্যাহার করা হলো।
বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল। এছাড়া আইসিসির হাইপারফরম্যান্স এবং ট্রেনিং এডুকেশনের প্রধানের দায়িত্বেও আছেন তিনি। আগামী মাসেই ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে আইসিসির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে।
তবে বেশিদিনের জন্য এই পদে থাকতে চান না আমিনুল। আগামী অক্টোবরে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালনে রাজি তিনি। তিনি নির্বাচনেও অংশগ্রহণে আগ্রহী না। স্পষ্ট করে বললে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় এই পদে বসছেন তিনি।