ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে Logo কমেতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।