ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ বড় হউক: ডাঃ তাহের Logo কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে হাঁটুপানিতে বসে ভর্তি পরীক্ষা Logo কমলো জ্বালানি তেলের দাম Logo ছাত্রদল ও বাম জোটের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি Logo কুষ্টিয়া মডেল থানার কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি Logo আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার বিচার Logo প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল Logo গরুর যে বুদ্ধি আছে তা অনেক মানুষের নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo টাঙ্গাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্ক

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ বড় হউক: ডাঃ তাহের

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।