ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের Logo ‘মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভে জামায়াত-শিবিরকে হুঁশিয়ারি

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না”

তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনবিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সাথে জড়িত পরিবার।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রাম ঘুরে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতী, ও আঃ সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি এখন বনবিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিনমাস বেকার হয়ে থাকতে হবে বলে ঐ জেলেরা জানান।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী বলেন, সুন্দরবনে তিনমাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়ৎদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদারের ১৫/২০ লাখ টাকা করে দাদন দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে প্রশ্ন করেন আড়ৎদাররা। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন বলে ঐ আড়ৎদাররা জানান।

অপরদিকে, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবারের মানুষ দারুন অর্থ সংকটে পড়বে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন কোন উপকার হবেনা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।