ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানামুখী অপপ্রয়াস চালাচ্ছে Logo টঙ্গীতে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে তথ্য মুছলেন ছাত্রদল নেতা, দিলেন হত্যার হুমকি Logo জোটে থেকে নির্বাচন করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে: ইসি সানাউল্লাহ Logo এবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াসের রিট Logo মেঘমল্লারকে দেখতে হাসপাতালে ডাকসুর জিএসপ্রার্থী এসএম ফরহাদ Logo ‘শিবিরের বাচ্চাদের রাজনীতি করতে দেব না’ বিউলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ জবি শিবিরের Logo জামায়াতের নির্বাচনি জোটে থাকবে না বিএনপি – তাহের Logo দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান:আযম খান Logo চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৮ Logo এস এম ফরহাদের ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই-আপিল বিভাগ

হঠাৎ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

রাশিয়ার নৌবাহিনীর ‘প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন’ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর দেশটির নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ বাংলাদেশ সফরে আসলো।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসও।

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ভেড়া রুশ নৌবহরের ওই জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী দুটি যুদ্ধজাহাজ। সেগুলোর নাম ‘অ্যাডমিরাল ত্রিবুতস’ ও ‘অ্যাডমিরাল প্যানতেলেইয়েভ’। অপর জাহাজটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকার। সেটির নাম ‘পেচেনগা’।

স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করতে সেখানে বিশেষ অভিযান চালায় রাশিয়ার কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মান্টিটঙ্কি তাসকে বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে রক্ষা করতে এসেছিল রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় অনেক মাইন ছিল। সেখানে অনেক নৌযান ডুবে ছিল।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, মাইন সমস্যা সমাধানে অনেক দেশের কাছে সে সময় সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি দেশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করতে রাজি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের তখন অর্থের ঘাটতি ছিল। তখন শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নই মানবিক কারণে সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল।

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার ওই অভিযান চলেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮০০ জনের বেশি সদস্য ২৬ মাস ধরে মাইন সরানোর কাজ করেছিলেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সোভিয়েত নৌসদস্যরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিলেন।

তবে এবার রুশ জাহাজগুলো পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যে খুবই উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোর বাংলাদেশ সফর।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানামুখী অপপ্রয়াস চালাচ্ছে

হঠাৎ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

আপডেট সময় ০১:৪৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

রাশিয়ার নৌবাহিনীর ‘প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন’ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর দেশটির নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ বাংলাদেশ সফরে আসলো।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসও।

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ভেড়া রুশ নৌবহরের ওই জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী দুটি যুদ্ধজাহাজ। সেগুলোর নাম ‘অ্যাডমিরাল ত্রিবুতস’ ও ‘অ্যাডমিরাল প্যানতেলেইয়েভ’। অপর জাহাজটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকার। সেটির নাম ‘পেচেনগা’।

স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করতে সেখানে বিশেষ অভিযান চালায় রাশিয়ার কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মান্টিটঙ্কি তাসকে বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে রক্ষা করতে এসেছিল রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় অনেক মাইন ছিল। সেখানে অনেক নৌযান ডুবে ছিল।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, মাইন সমস্যা সমাধানে অনেক দেশের কাছে সে সময় সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি দেশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করতে রাজি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের তখন অর্থের ঘাটতি ছিল। তখন শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নই মানবিক কারণে সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল।

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার ওই অভিযান চলেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮০০ জনের বেশি সদস্য ২৬ মাস ধরে মাইন সরানোর কাজ করেছিলেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সোভিয়েত নৌসদস্যরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিলেন।

তবে এবার রুশ জাহাজগুলো পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যে খুবই উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোর বাংলাদেশ সফর।