ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির Logo খামেনিকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নতুন কমান্ডার মোহাম্মদ কারামি Logo মুশফিকের সেঞ্চুরি রেকর্ড ধামাকা Logo এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকবে Logo গুমের শিকার ব্যক্তিদের ৪ পরিণতি হতো, যেসব ‘ফাঁদে’আ’লীগ সরকার Logo ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা Logo কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু Logo জুলাই সনদ,রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে,সেলিম উদ্দিন Logo অবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

আজ (৩০ মে ) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো: নওসাজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল গতকাল (২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সহযোগী বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া আদালতের রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ২৭ মে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা উস্কানিতে শাহবাগবিরোধী ছাত্রঐক্যের মিছিলে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’ হামলা চালিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।”

বিবৃতিতে তারা বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাম সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার পথে বারবার বাঁধা সৃষ্টি করেছে। ১৯৮২ সালে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৪ জন কর্মীকে শহীদ করার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ১৯৮৫ সালে শিবির নিধন ও হত্যার কর্মসূচি দিয়ে হলে হলে তাণ্ডব চালায়, ১৯৮৮ সালে ভর্তি সহায়তা বুথে হামলা করে, ১৯৮৯ সালের রাকসুর প্রচারণায় হামলা চালায়, ১৯৯৩ সালে কলা ভবনে বোমা হামলাসহ শত শত অপরাধের সাথে বাম সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। বামপন্থিরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন কর্মীকে নির্মমভাবে শহীদ করে, আহত করে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে। এসব গর্হিত কাজে নেতৃত্ব প্রদান করে বামপন্থি নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, মনোয়ারুল হক, সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লিকু, রাগিব আহসান মুন্না প্রমুখ।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ভিত্তি তৈরি এবং তাদের সকল গুম, খুন, গণহত্যার বৈধতা উৎপাদন করেছিল এই বামপন্থি চক্র। গণজাগরন মঞ্চের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকতার পরিবর্তে তারা যে মব কালচার তৈরি করেছিল, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আদালতের রায়ের বিপরীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ থাকলেও তারা সে পথে না হেঁটে ক্যাম্পাসগুলোকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের সুরে সুর মিলিয়ে তারা একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরকে ‘হত্যা ও নিধন’ করার স্লোগান দিতো, এখন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লেগান দেয় ‘বাঁশের লাঠি মশাল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে’। ‘আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ ছিল’ বলে ঘোষণা দিয়ে তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় লাশের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে।”

সচেতন ছাত্রসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, “শুধু অস্ত্র ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনীতি নয়, বাম সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ফ্রি মিক্সিং, যৌন স্বাধীনতা ও সমকামিতার মতো বিপথগামী সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগের পতনের পরও ক্যাম্পাসের ছাত্রবান্ধব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এই চিহ্নিত বামচক্র। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস তাদের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নস্যাৎ করার যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

 

ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির

ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৯:০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

আজ (৩০ মে ) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো: নওসাজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল গতকাল (২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সহযোগী বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া আদালতের রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ২৭ মে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা উস্কানিতে শাহবাগবিরোধী ছাত্রঐক্যের মিছিলে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’ হামলা চালিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।”

বিবৃতিতে তারা বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাম সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার পথে বারবার বাঁধা সৃষ্টি করেছে। ১৯৮২ সালে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৪ জন কর্মীকে শহীদ করার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ১৯৮৫ সালে শিবির নিধন ও হত্যার কর্মসূচি দিয়ে হলে হলে তাণ্ডব চালায়, ১৯৮৮ সালে ভর্তি সহায়তা বুথে হামলা করে, ১৯৮৯ সালের রাকসুর প্রচারণায় হামলা চালায়, ১৯৯৩ সালে কলা ভবনে বোমা হামলাসহ শত শত অপরাধের সাথে বাম সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। বামপন্থিরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন কর্মীকে নির্মমভাবে শহীদ করে, আহত করে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে। এসব গর্হিত কাজে নেতৃত্ব প্রদান করে বামপন্থি নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, মনোয়ারুল হক, সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লিকু, রাগিব আহসান মুন্না প্রমুখ।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ভিত্তি তৈরি এবং তাদের সকল গুম, খুন, গণহত্যার বৈধতা উৎপাদন করেছিল এই বামপন্থি চক্র। গণজাগরন মঞ্চের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকতার পরিবর্তে তারা যে মব কালচার তৈরি করেছিল, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আদালতের রায়ের বিপরীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ থাকলেও তারা সে পথে না হেঁটে ক্যাম্পাসগুলোকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের সুরে সুর মিলিয়ে তারা একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরকে ‘হত্যা ও নিধন’ করার স্লোগান দিতো, এখন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লেগান দেয় ‘বাঁশের লাঠি মশাল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে’। ‘আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ ছিল’ বলে ঘোষণা দিয়ে তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় লাশের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে।”

সচেতন ছাত্রসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, “শুধু অস্ত্র ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনীতি নয়, বাম সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ফ্রি মিক্সিং, যৌন স্বাধীনতা ও সমকামিতার মতো বিপথগামী সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগের পতনের পরও ক্যাম্পাসের ছাত্রবান্ধব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এই চিহ্নিত বামচক্র। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস তাদের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নস্যাৎ করার যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”