ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo যৌথবাহিনীর অভিযানে গুলিসহ সেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক Logo নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে ট্রাংক ভেঙে এইচএসসি ২০২৫ এর প্রশ্নপত্র চুরি Logo মুখ ফসকে’ ইসরায়েলের বিপক্ষে বক্তব্য দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Logo ইরাক আগ্রাসনের মতো মিথ্যা অজুহাতে ইসরায়েলের হামলা’ Logo মে মাসে প্রবাসী আয় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা Logo হজযাত্রীর কোটা না বাড়াতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার Logo ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মতি Logo ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা ‘বিপজ্জনক নজির’:চীন Logo যানজট নিরসনের চট্টগ্রামে হচ্ছে মনোরেল

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

আপডেট সময় ১১:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”