ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo “নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল  Logo ছাত্রদল নেতার পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে Logo দেশবাসী চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না Logo যুবদল নেতা হত্যা ও খতিবের ওপর হামলায় জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা Logo বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক Logo মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo এবার ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করলেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য রাব্বি Logo সিরিয়ার কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী Logo মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo হাসিনা কন্যা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠালো ডব্লিউএইচও

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

“নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল 

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

আপডেট সময় ১১:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”