ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বেসিক মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা Logo ছাত্রদলের সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৬ নির্দেশনা Logo আমীরে জামায়াতের  হার্টে ৪ ব্লক, শনিবার বাইপাস সার্জারি Logo শাহবাগ মোড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ Logo আওয়ামি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন Logo জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি আগামীকাল Logo রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলো ভারত Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি কূটনৈতিক বিজয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo জকসু নিয়ে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে জবি রেজিস্ট্রারের দূর্ব্যবহার Logo বাংলাদেশের জন্য পালটা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বেসিক মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা

গুইমারায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সেনা অভিযানে দুইজন আটক

আপডেট সময় ১১:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‎খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) মধ্যরাতে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির।

আটক দুই ব্যক্তির নাম মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়েই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।‎

‎স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গুইমারার অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমোড়া পুলিশ বক্সের সামনে—বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।

‎চালকদের দাবি, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী ট্রাকগুলো থেকে দিনে-রাতে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।

‎‎এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‎”প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। খাগড়াছিড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পিকআপ নিয়ে গেলে অন্তত ৮ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।”

‎সেনা অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদির জানান, ‎”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”‎

‎আটককৃতদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‎”আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুইমারায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”