ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস Logo ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo যৌথবাহিনীর অভিযানে গুলিসহ সেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক Logo নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে ট্রাংক ভেঙে এইচএসসি ২০২৫ এর প্রশ্নপত্র চুরি Logo মুখ ফসকে’ ইসরায়েলের বিপক্ষে বক্তব্য দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Logo ইরাক আগ্রাসনের মতো মিথ্যা অজুহাতে ইসরায়েলের হামলা’ Logo মে মাসে প্রবাসী আয় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা Logo হজযাত্রীর কোটা না বাড়াতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার Logo ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মতি

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হচ্ছে: তারেক রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাধীনতা প্রিয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে কোনো দলের আপত্তি নেই। তবে, সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণে সব দলের আপত্তি রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে ডিসেম্বরের আগেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া জরুরি। সরকার বা সরকার প্রধানের চিন্তা-চেতনা জনগণের ওপরে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা থেকে স্বৈরাচারের জন্ম হয়। স্বৈরাচার যাতে প্রতিষ্ঠা না হয় সেজন্য রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠান করা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের ভোট ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা করা যায়। দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেয়া এই সরকার হয়তো বৈধ। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জবাবদিহিতামূলক সরকার নয়। জনগণের কাছে এই সরকারের জবাবদিহির কোনো সুযোগ নাই। ১০ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। ফলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা যদি খেয়াল করি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে একটি স্থিতিশীল সরকার না থাকায় কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগও হচ্ছে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ’ শ’ শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে এ ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। জনগণ তাদের সমস্যার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই জনগণের কোনো যোগাযোগ নেই। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা সমস্যার ব্যাপারে অনেক উপদেষ্টা ওয়াকিবহাল নয়। তারা অফিসে বসে ফাইল-পত্র দেখে, সমস্যা চিহ্নিত করে হয়তো সমাধান করার চেষ্টা করছে। জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়া, প্রশাসন নির্ভর, ফাইল ওয়ার্ক দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান যদি করা যেতই তাহলে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দল ও রাজনীতির দরকার হতো না।

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ সরাসরি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে লিখিত সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দলেরই তেমন কোনো আপত্তি নেই। তবে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকারের অযথাই কালক্ষেপণে আপত্তি রয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বিভিন্ন সংগঠনও এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে।

আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে তাদের ইনটেনশন যদি ভালো থাকে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে, আমরা দাবি করেছি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে। তবে বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে আমি এটাও মনে করি ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন করা সম্ভব। সরকারের কাছে আবারো আহ্বান জানাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করুন, ডিসেম্বরের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জয় বা পরাজয়ের কোনো কিছু নেয়। বরং স্বাধীনতা প্রিয় জনগণকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুন।

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হচ্ছে: তারেক রহমান

আপডেট সময় ১০:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাধীনতা প্রিয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে কোনো দলের আপত্তি নেই। তবে, সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণে সব দলের আপত্তি রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে ডিসেম্বরের আগেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া জরুরি। সরকার বা সরকার প্রধানের চিন্তা-চেতনা জনগণের ওপরে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা থেকে স্বৈরাচারের জন্ম হয়। স্বৈরাচার যাতে প্রতিষ্ঠা না হয় সেজন্য রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠান করা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের ভোট ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা করা যায়। দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেয়া এই সরকার হয়তো বৈধ। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জবাবদিহিতামূলক সরকার নয়। জনগণের কাছে এই সরকারের জবাবদিহির কোনো সুযোগ নাই। ১০ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। ফলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা যদি খেয়াল করি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে একটি স্থিতিশীল সরকার না থাকায় কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগও হচ্ছে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ’ শ’ শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে এ ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। জনগণ তাদের সমস্যার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই জনগণের কোনো যোগাযোগ নেই। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা সমস্যার ব্যাপারে অনেক উপদেষ্টা ওয়াকিবহাল নয়। তারা অফিসে বসে ফাইল-পত্র দেখে, সমস্যা চিহ্নিত করে হয়তো সমাধান করার চেষ্টা করছে। জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়া, প্রশাসন নির্ভর, ফাইল ওয়ার্ক দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান যদি করা যেতই তাহলে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দল ও রাজনীতির দরকার হতো না।

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ সরাসরি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে লিখিত সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দলেরই তেমন কোনো আপত্তি নেই। তবে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকারের অযথাই কালক্ষেপণে আপত্তি রয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বিভিন্ন সংগঠনও এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে।

আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে তাদের ইনটেনশন যদি ভালো থাকে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে, আমরা দাবি করেছি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে। তবে বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে আমি এটাও মনে করি ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন করা সম্ভব। সরকারের কাছে আবারো আহ্বান জানাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করুন, ডিসেম্বরের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জয় বা পরাজয়ের কোনো কিছু নেয়। বরং স্বাধীনতা প্রিয় জনগণকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুন।