ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo “নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল  Logo ছাত্রদল নেতার পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে Logo দেশবাসী চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না Logo যুবদল নেতা হত্যা ও খতিবের ওপর হামলায় জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা Logo বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক Logo মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo এবার ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করলেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য রাব্বি Logo সিরিয়ার কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী Logo মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo হাসিনা কন্যা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠালো ডব্লিউএইচও

পাকিস্তানের কাছেও হারলো বাংলাদেশ দল

আরব আমিরাতের সাথে  সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের বর্তমান মিশন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেখানেও হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাসের দলকে হারতে হলো ৩৭ রানের ব্যবধানে।

পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে মোট ১৬৪ রান। পাক পেসার হাসান আলির বোলিং তোপে ২০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তানজিদ তামিমের ৩১, জাকের আলি অনিকের ৩৬ এবং লিটন দাসের ৪৮ কেবল হারের রানই কমিয়েছে। জয়ের জন্য মোটেও কার্যকরী ছিল না এমন ইনিংস।

এদিন বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন, ফিরে যান ৪ রান করে। ক্রিজে থিতু হয়েও টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি তাওহীদ হ্রদয়। রান করতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী কিংবা রিশাদ হোসেনরাও। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট দিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করে ১৬৪ রান। হাসান আলি সংগ্রহ করেন ৫ উইকেট।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সালমান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট সংগ্রহ করেন শরিফুল ইসলাম।

বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ৫ রানেই পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল টাইগাররা। তবে সেই চাপ সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সালমান আলি আগার ফিফটিতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে তোলে তারা। মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৮ রান। তাতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৫২ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।

হারিস ইনিংস বড় করতে না পারলেও ফিফটি পেয়ে যান সালমান। ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। এছাড়া ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে জাত চিনিয়েছেন হাসান নাওয়াজ। আর শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন শাদাব খান। তাতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হন শরিফুল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, শামিম পাটোয়ারী, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

“নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল 

পাকিস্তানের কাছেও হারলো বাংলাদেশ দল

আপডেট সময় ০৭:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

আরব আমিরাতের সাথে  সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের বর্তমান মিশন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেখানেও হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাসের দলকে হারতে হলো ৩৭ রানের ব্যবধানে।

পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে মোট ১৬৪ রান। পাক পেসার হাসান আলির বোলিং তোপে ২০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তানজিদ তামিমের ৩১, জাকের আলি অনিকের ৩৬ এবং লিটন দাসের ৪৮ কেবল হারের রানই কমিয়েছে। জয়ের জন্য মোটেও কার্যকরী ছিল না এমন ইনিংস।

এদিন বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন, ফিরে যান ৪ রান করে। ক্রিজে থিতু হয়েও টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি তাওহীদ হ্রদয়। রান করতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী কিংবা রিশাদ হোসেনরাও। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট দিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করে ১৬৪ রান। হাসান আলি সংগ্রহ করেন ৫ উইকেট।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সালমান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট সংগ্রহ করেন শরিফুল ইসলাম।

বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ৫ রানেই পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল টাইগাররা। তবে সেই চাপ সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সালমান আলি আগার ফিফটিতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে তোলে তারা। মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৮ রান। তাতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৫২ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।

হারিস ইনিংস বড় করতে না পারলেও ফিফটি পেয়ে যান সালমান। ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। এছাড়া ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে জাত চিনিয়েছেন হাসান নাওয়াজ। আর শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন শাদাব খান। তাতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হন শরিফুল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, শামিম পাটোয়ারী, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।