ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বৈবিছা্আ এর আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহিত

 

 

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখন ইসলামের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী লিখন ইসলাম বলেন, “আমি কলেজের আইটি ও দপ্তর সংশ্লিষ্ট কিছু সংস্কারের বিষয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে যাই। সেখানে তিনি আমার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কিছুক্ষণ পর ছাত্রদল সভাপতি জসিম ও সাধারণ সম্পাদক রুবেলসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আমাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন।”

লিখনের দাবি অনুযায়ী, তাঁর করা একটি ফেসবুক পোস্টে কলেজের আইটি খাতের অদক্ষতা ও ভেরিফায়েড পেইজ না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্র জসিম, সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২-১৩ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রুবেল হোসেনসহ আরও অনেকে।

অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা তখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারুণ্যের সমাবেশে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ হট্টগোল শুনে সেখানে গিয়ে দেখি কিছু শিক্ষার্থী লিখনকে ঘিরে রেখেছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কোনো নেতাকর্মী যদি এতে জড়িত থাকে, প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লিখন ইসলাম ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি নেতার হাত-পা ভাঙলেন ছাত্রদল নেতা

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বৈবিছা্আ এর আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

 

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখন ইসলামের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী লিখন ইসলাম বলেন, “আমি কলেজের আইটি ও দপ্তর সংশ্লিষ্ট কিছু সংস্কারের বিষয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে যাই। সেখানে তিনি আমার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কিছুক্ষণ পর ছাত্রদল সভাপতি জসিম ও সাধারণ সম্পাদক রুবেলসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আমাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন।”

লিখনের দাবি অনুযায়ী, তাঁর করা একটি ফেসবুক পোস্টে কলেজের আইটি খাতের অদক্ষতা ও ভেরিফায়েড পেইজ না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্র জসিম, সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২-১৩ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রুবেল হোসেনসহ আরও অনেকে।

অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা তখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারুণ্যের সমাবেশে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ হট্টগোল শুনে সেখানে গিয়ে দেখি কিছু শিক্ষার্থী লিখনকে ঘিরে রেখেছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কোনো নেতাকর্মী যদি এতে জড়িত থাকে, প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লিখন ইসলাম ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।