বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নয়। কিন্তু তিনি পদত্যাগের নাটক করেছেন।”
বুধবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছি। নিরপেক্ষ সরকার, গণতন্ত্র ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত—সবার আগে বাংলাদেশ।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি “নতুন বাংলাদেশ” গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আশা করি আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে অন্য রকম; যেখানে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”
মহাসমাবেশে বিএনপির অন্যান্য নেতারাও সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম বিতর্কিত এবং তা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। তারা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে তারুণ্যের অংশগ্রহণ থাকবে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। অত্যন্ত সুকৌশলে ঐক্যে ফাটল ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন ও তাদের লুটপাটের কথা ভুলতে বসেছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসন আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ২০০ বছরে যা লুটপাট করেছে তার চেয়ে বেশি সম্পদ লুট করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ৩০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। বিদ্যুৎ ও ব্যাংক খাতে লুটপাট চালিয়েছে। ব্যাংক থেকে যত টাকা লুট করেছে তা দিয়ে ৩৬টা পদ্মাসেতু বানানো যেত। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী।