ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা Logo ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo ‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি Logo “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তানের সব উপকার ভুলে গেছে আফগানিস্তান” Logo বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সকল ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Logo ‘শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে’

ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি-জুলুম ও অত্যাচার হবেই: এটিএম আজহারুল

ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি-জুলুম ও অত্যাচার হবেই: এটিএম আজহারুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও সদ্য কারামুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন খরস্রোতা নদীর মতো। খরস্রোতা নদী প্রবল বেগে চলতে থাকে। এর সামনে যেমন বাঁধই দেন না কেন —তা ভাঙতে ভাঙতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার অপরাধ ছিল ইসলামী আন্দোলন করা। ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি জুলুম ও অত্যাচার হবেই। এটি নিয়ে কোনো সময় চিন্তা করতাম না। যে ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিযামী ভাই, মুজাহিদ ভাই, কামারুজ্জামান ভাই, কাদের মোল্লা ভাই, মীর কাশেম আলী ভাই সরাসরি হত্যার শিকার হয়েছেন।’ যারা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন, তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন বলেও নিজের আশার কথা বলেন আজহারুল ইসলাম।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (সাবেক পিজি হাসপাতাল) প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি।

নিজের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে আজহার বলেন, ‘আমি কী জন্য গ্রেফতার হয়েছিলাম? আমি তো চুরি ডাকাতি বা জমি দখল করিনি। অভিযোগ হলো আমি ইসলামী আন্দোলন করি।’

আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি দেড় বছর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলাম। ধারণা করিনি আমাকে গ্রেফতার করা হবে। গ্রেফতারের পর ১২ থেকে ১৪টা মামলা দেওয়া হয়। পরে কথিত মানবতাবিরোধী মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানান তিনি। পরে তিনি আল্লাহর উপর ভরসা করেন, যে ভাগ্যে যা আছে তাই হবে সেসময়ের নিজের এমন —অনুভূতির কথা জানান সদ্য কারামুক্ত জামায়াতের এই নেতা।

এটিএম আজহার বলেন, ‘তাদের (জামায়াতের) প্রতি ক্ষোভটা কি? তাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তাদের অপরাধ ছিল—তারা ইসলামী আন্দোলন করেন।’

তিনি বলেন, জাতি যদি সকল দিক থেকে মুক্তি পেতে চায়, এমনি আমরা যা কিছুই বলি না কেন- ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আজহার বলেন, ‘আমার ক্ষুদ্র বয়সের অধ্যয়ন থেকে মনে হয়েছে, দুনিয়া ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। খেয়াল করবেন গ্রামের চেয়ারম্যান যারা, তারা তাদের সমকক্ষ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে, দুর্বলদের নয়। একইভাবে আজকে ইসলামবিরোধী সকল শক্তি এক হয়েছে—তার মানে ইসলাম শক্তি অর্জন করেছে। এই শক্তিকে দমাতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন খরস্রোতা নদীর মতো। খরস্রোতা নদী প্রবল বেগে চলতে থাকে। এর সামনে যেমন বাঁধই দেন না কেন —তা ভাঙতে ভাঙতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

আজহার বলেন, ১৪ বছর জামায়াতকে দমন করাসহ সর্বশেষ নিষিদ্ধ করেছিল। জামায়াতের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পেরেছে? পারেনি। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের কর্মী সমর্থক অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, নির্যাতনের কারণে অনেকে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, অনেকের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে, অনেককে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। অত্যাচার ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিয়ামত, যদি নির্যাতন বেশি হয় তাহলে—সংগঠন আরো বেশি শক্তিশালী হয়। মানুষের কণ্ঠ প্রতিবাদী হয়। এই সমস্ত সময়ে যেসমস্ত লোকজন ইসলামী আন্দোলনে যোগদান করেন—তারা সাহসী হয়, তারা ভিতু হয় না। ইসলামী আন্দোলনে সবসময় জুলুম নির্যাতন হবেই-এটা অনিবার্য। আর যদি না হয়, তাহলে সেটি ইসলামী আন্দোলন কিনা—চিন্তা করতে হবে। বাতিলের সঙ্গে ইসলামের কোনো আপস হতে পারে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল

ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি-জুলুম ও অত্যাচার হবেই: এটিএম আজহারুল

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও সদ্য কারামুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন খরস্রোতা নদীর মতো। খরস্রোতা নদী প্রবল বেগে চলতে থাকে। এর সামনে যেমন বাঁধই দেন না কেন —তা ভাঙতে ভাঙতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার অপরাধ ছিল ইসলামী আন্দোলন করা। ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি জুলুম ও অত্যাচার হবেই। এটি নিয়ে কোনো সময় চিন্তা করতাম না। যে ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিযামী ভাই, মুজাহিদ ভাই, কামারুজ্জামান ভাই, কাদের মোল্লা ভাই, মীর কাশেম আলী ভাই সরাসরি হত্যার শিকার হয়েছেন।’ যারা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন, তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন বলেও নিজের আশার কথা বলেন আজহারুল ইসলাম।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (সাবেক পিজি হাসপাতাল) প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি।

নিজের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে আজহার বলেন, ‘আমি কী জন্য গ্রেফতার হয়েছিলাম? আমি তো চুরি ডাকাতি বা জমি দখল করিনি। অভিযোগ হলো আমি ইসলামী আন্দোলন করি।’

আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি দেড় বছর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলাম। ধারণা করিনি আমাকে গ্রেফতার করা হবে। গ্রেফতারের পর ১২ থেকে ১৪টা মামলা দেওয়া হয়। পরে কথিত মানবতাবিরোধী মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানান তিনি। পরে তিনি আল্লাহর উপর ভরসা করেন, যে ভাগ্যে যা আছে তাই হবে সেসময়ের নিজের এমন —অনুভূতির কথা জানান সদ্য কারামুক্ত জামায়াতের এই নেতা।

এটিএম আজহার বলেন, ‘তাদের (জামায়াতের) প্রতি ক্ষোভটা কি? তাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তাদের অপরাধ ছিল—তারা ইসলামী আন্দোলন করেন।’

তিনি বলেন, জাতি যদি সকল দিক থেকে মুক্তি পেতে চায়, এমনি আমরা যা কিছুই বলি না কেন- ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আজহার বলেন, ‘আমার ক্ষুদ্র বয়সের অধ্যয়ন থেকে মনে হয়েছে, দুনিয়া ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। খেয়াল করবেন গ্রামের চেয়ারম্যান যারা, তারা তাদের সমকক্ষ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে, দুর্বলদের নয়। একইভাবে আজকে ইসলামবিরোধী সকল শক্তি এক হয়েছে—তার মানে ইসলাম শক্তি অর্জন করেছে। এই শক্তিকে দমাতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন খরস্রোতা নদীর মতো। খরস্রোতা নদী প্রবল বেগে চলতে থাকে। এর সামনে যেমন বাঁধই দেন না কেন —তা ভাঙতে ভাঙতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

আজহার বলেন, ১৪ বছর জামায়াতকে দমন করাসহ সর্বশেষ নিষিদ্ধ করেছিল। জামায়াতের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পেরেছে? পারেনি। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতের কর্মী সমর্থক অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, নির্যাতনের কারণে অনেকে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, অনেকের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে, অনেককে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। অত্যাচার ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিয়ামত, যদি নির্যাতন বেশি হয় তাহলে—সংগঠন আরো বেশি শক্তিশালী হয়। মানুষের কণ্ঠ প্রতিবাদী হয়। এই সমস্ত সময়ে যেসমস্ত লোকজন ইসলামী আন্দোলনে যোগদান করেন—তারা সাহসী হয়, তারা ভিতু হয় না। ইসলামী আন্দোলনে সবসময় জুলুম নির্যাতন হবেই-এটা অনিবার্য। আর যদি না হয়, তাহলে সেটি ইসলামী আন্দোলন কিনা—চিন্তা করতে হবে। বাতিলের সঙ্গে ইসলামের কোনো আপস হতে পারে না।