ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে : উমামা ফাতেমা

ফাইল ছবি

 

ছাত্রশিবির বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘টক্সিক’ (বিষাক্ত) করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উমামা ফাতেমা লিখেছেন, ‘যারা এতদিন ছাত্রলীগের মধ্যে মিশে সার্ভাইভ করার ভং ধরে সেই ছাত্র সংগঠন কিনা এখন আরেকজনরে ট্যাগ দিতে আসে। গত ১৫ বছর ছাত্রলীগের হয়ে এদের অনেকে হলে হ্যাডম দেখাত।

ছাত্রশিবির ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে টক্সিক (বিষাক্ত) করে তুলেছে।’
তিনি লেখেন, ‘এদের (শিবির) সাধারণ ছাত্র ভং ধরে বারংবার ছাত্রদের সাবোটেজ করার কারণে আসল সাধারণ ছাত্রদের কথা বলার পরিবেশ সংকুচিত হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারা নিয়ে কোনো প্রকার সুস্থ আলাপ তোলা শুরু যায়নি এদের ডিস্টার্বেন্সের কারণে।’

উমামা লেখেন, ‘একটা অদ্ভুত বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, গত ৮ মার্চ আসিয়া ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সুফিয়া কামাল হল থেকে আমরা মেয়েরা মিছিল বের করে গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করি।

হলপাড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আমরা স্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হলপাড়া থেকে বের হচ্ছিল না। এই হচ্ছে এদের সাধারণ শিক্ষার্থীগিরির নমুনা। পান থেকে চুন খসলে যেখানে এরা মিছিল বের করে সেখানে আসিয়ার জন্য এরা মিছিলে যুক্ত হতে পারে না।


সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাবধান করে তিনি লেখেন, ‘এসব বাটপারদের থেকে সাবধান থাকুন। ছাত্রলীগের আমলে লীগের বিরুদ্ধে মিনিমাম সংগ্রাম এরা করেনি, উলটা অন্য ছাত্রদের ওপর নির্যাতনকে হালাল করেছে। আর এখন যাকে তাকে লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে নিজের পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এই বাটপাররাই।’

উমামা লিখেছেন, ‘আমার খুব পরিষ্কার মনে আছে, ২০২৪ সালের ডামি ইলেকশনের বিরুদ্ধে আমরা ৩১ জুলাই থেকে রাজু ভাস্কর্যে ডামি নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলন করছিলাম। এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তৎকালীন লীগের আড়ালে থাকা কিছু ভাইব্রাদার আন্দোলন করছিল ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের জন্য।

আমরা তখন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাই আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এরা ২০২৪ নির্বাচনের পুরোটা সময় মুখ ফুটে একটা শব্দও বের করেনি। মানে কি বলব! যাদের কাছে একটা দেশে দিনে দুপুরে ভোট ডাকাতির টপিক থেকে শেখ হাসিনার তৈরি প্রশাসনের আনা ট্রান্সজেন্ডার কোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এরা এখন জুলাই এর ঠিকাদারি ব্যবসা করে। এই ঠিকাদারদের হাতে জুলাইও নিরাপদ না।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিবি সভাপতির পদ হারালেন ফারুক আহমেদ

শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে : উমামা ফাতেমা

আপডেট সময় ১১:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

ছাত্রশিবির বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘টক্সিক’ (বিষাক্ত) করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উমামা ফাতেমা লিখেছেন, ‘যারা এতদিন ছাত্রলীগের মধ্যে মিশে সার্ভাইভ করার ভং ধরে সেই ছাত্র সংগঠন কিনা এখন আরেকজনরে ট্যাগ দিতে আসে। গত ১৫ বছর ছাত্রলীগের হয়ে এদের অনেকে হলে হ্যাডম দেখাত।

ছাত্রশিবির ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে টক্সিক (বিষাক্ত) করে তুলেছে।’
তিনি লেখেন, ‘এদের (শিবির) সাধারণ ছাত্র ভং ধরে বারংবার ছাত্রদের সাবোটেজ করার কারণে আসল সাধারণ ছাত্রদের কথা বলার পরিবেশ সংকুচিত হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারা নিয়ে কোনো প্রকার সুস্থ আলাপ তোলা শুরু যায়নি এদের ডিস্টার্বেন্সের কারণে।’

উমামা লেখেন, ‘একটা অদ্ভুত বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, গত ৮ মার্চ আসিয়া ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সুফিয়া কামাল হল থেকে আমরা মেয়েরা মিছিল বের করে গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করি।

হলপাড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আমরা স্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হলপাড়া থেকে বের হচ্ছিল না। এই হচ্ছে এদের সাধারণ শিক্ষার্থীগিরির নমুনা। পান থেকে চুন খসলে যেখানে এরা মিছিল বের করে সেখানে আসিয়ার জন্য এরা মিছিলে যুক্ত হতে পারে না।


সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাবধান করে তিনি লেখেন, ‘এসব বাটপারদের থেকে সাবধান থাকুন। ছাত্রলীগের আমলে লীগের বিরুদ্ধে মিনিমাম সংগ্রাম এরা করেনি, উলটা অন্য ছাত্রদের ওপর নির্যাতনকে হালাল করেছে। আর এখন যাকে তাকে লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে নিজের পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এই বাটপাররাই।’

উমামা লিখেছেন, ‘আমার খুব পরিষ্কার মনে আছে, ২০২৪ সালের ডামি ইলেকশনের বিরুদ্ধে আমরা ৩১ জুলাই থেকে রাজু ভাস্কর্যে ডামি নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলন করছিলাম। এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তৎকালীন লীগের আড়ালে থাকা কিছু ভাইব্রাদার আন্দোলন করছিল ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের জন্য।

আমরা তখন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাই আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এরা ২০২৪ নির্বাচনের পুরোটা সময় মুখ ফুটে একটা শব্দও বের করেনি। মানে কি বলব! যাদের কাছে একটা দেশে দিনে দুপুরে ভোট ডাকাতির টপিক থেকে শেখ হাসিনার তৈরি প্রশাসনের আনা ট্রান্সজেন্ডার কোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এরা এখন জুলাই এর ঠিকাদারি ব্যবসা করে। এই ঠিকাদারদের হাতে জুলাইও নিরাপদ না।’