ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিশ্চিত বাংলাদেশ

ভারতের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিশ্চিত বাংলাদেশ

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা না খেলা নির্ভর করছিল ভারতের বড় জয়ের উপর। নেদারল্যান্ডসকে শেষ ম্যাচে উড়িয়ে ২০২৫ সালে সাকিব আল হাসানদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে দিলো রোহিত শর্মার দল।

বেঙ্গালুরুতে রোববার (১২ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪১০ রান করে ভারত। তাড়া করতে নেমে ২৫০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ১৬০ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভারত। রাউন্ড রবিন লিগে ৯ ম্যাচের প্রত্যেকটিতে ভারত জিতেছে একমাত্র দল হিসেবে।

অনুমিতভাবেই শীর্ষে আছে তারা। ৯ ম্যাচে দুই জয়ে ডাচদের অবস্থান সবার শেষে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে বিশ্বকাপে ৮ নম্বরের থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। বাংলাদেশ ৮ নম্বরে থেকেই শেষ করেছে।

শ্রেয়াস আইয়্যার-লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ডাচদের সামনে জমা হয় রানের পাহাড়। সেই পাহাড়ের সামনে শুরুতে হোঁচট খায় তারা। তবে ধীরে ধীরে খেলা শুরু করলেও রান তাড়ার জন্য সেটি উপযোগী ছিল না। ছোট ছোট রান কিংবা জুটি গড়লেও কোনও ব্যাটার রানরেট অনুযায়ী খেলতে পারেননি।

৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তেজা নিদামানুরু। তার ইনিংসে শুধু ছয়ের মারই ছিল ৬টি! আর চারের মার ১টি। এ ছাড়া, সিব্র্যান্ড ৪৫ ও কলিন আকারম্যান খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ-মোহাম্মদ সিরাজ-কুলদীপ যাদব-রবীন্দ্র জাদেজা। আর ১টি করে উইকেট নেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। এর আগে, ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগুনে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন মাত্র ৭১ বলে যোগ করেন ১০০ রান।

শত রানের জুটি গড়েই ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান গিল। তিনি থামলেও বিরাট কোহলিকে নিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন রোহিত। দেখে-শুনে খেলে ক্যারিয়ারে ৫৪তম ফিফটি পূরণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। ফিফটির পরই অবশ্য আউট হয়ে ফিরে যান ‘হিটম্যান’ খ্যাত এই ওপেনার। রোহিতের বিদায়ে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ারের সঙ্গে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি কোহলি। দলীয় ২৮.৪ ওভারে রুলফ ফন ডার মারউইয়ের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। যাওয়ার আগে খেলেন ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস। এরপর মাঠে নামেন লোকেশ রাহুল।

রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাচ বোলারদের ওপর সুনামি বইয়ে দেন আইয়ার। এর মধ্যেই দুজন মিলে গড়েন শত রানের জুটি। দেখে-শুনে খেলে দলীয় ৪৫.৫ ওভারে বাস লিডের বলে চার মেরে শতক পূর্ণ করেন আইয়ার। মাত্র ৮৪ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই ব্যাটার।

আইয়ারের শতকের রেশ কাটতে না কাটতেই চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে দিয়ে মাত্র ৬২ বলে শতক তুলে নেন রাহুল, যা কিনা বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। দুজন মিলে ১২৮ বলে গড়েন ২০৮ রানের জুটি। তিন অঙ্কের ফিগার ছোঁয়ার পরই অবশ্য রাহুলের আউটে ভাঙে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত অপর প্রান্তে ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার। রাহুলের আউটে ক্রিজে আসা সূর্যকুমার যাদব অপরাজিত থাকেন ২ রানে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিশ্চিত বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৫৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা না খেলা নির্ভর করছিল ভারতের বড় জয়ের উপর। নেদারল্যান্ডসকে শেষ ম্যাচে উড়িয়ে ২০২৫ সালে সাকিব আল হাসানদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে দিলো রোহিত শর্মার দল।

বেঙ্গালুরুতে রোববার (১২ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪১০ রান করে ভারত। তাড়া করতে নেমে ২৫০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ১৬০ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভারত। রাউন্ড রবিন লিগে ৯ ম্যাচের প্রত্যেকটিতে ভারত জিতেছে একমাত্র দল হিসেবে।

অনুমিতভাবেই শীর্ষে আছে তারা। ৯ ম্যাচে দুই জয়ে ডাচদের অবস্থান সবার শেষে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে বিশ্বকাপে ৮ নম্বরের থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। বাংলাদেশ ৮ নম্বরে থেকেই শেষ করেছে।

শ্রেয়াস আইয়্যার-লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ডাচদের সামনে জমা হয় রানের পাহাড়। সেই পাহাড়ের সামনে শুরুতে হোঁচট খায় তারা। তবে ধীরে ধীরে খেলা শুরু করলেও রান তাড়ার জন্য সেটি উপযোগী ছিল না। ছোট ছোট রান কিংবা জুটি গড়লেও কোনও ব্যাটার রানরেট অনুযায়ী খেলতে পারেননি।

৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তেজা নিদামানুরু। তার ইনিংসে শুধু ছয়ের মারই ছিল ৬টি! আর চারের মার ১টি। এ ছাড়া, সিব্র্যান্ড ৪৫ ও কলিন আকারম্যান খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ-মোহাম্মদ সিরাজ-কুলদীপ যাদব-রবীন্দ্র জাদেজা। আর ১টি করে উইকেট নেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। এর আগে, ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগুনে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন মাত্র ৭১ বলে যোগ করেন ১০০ রান।

শত রানের জুটি গড়েই ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান গিল। তিনি থামলেও বিরাট কোহলিকে নিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন রোহিত। দেখে-শুনে খেলে ক্যারিয়ারে ৫৪তম ফিফটি পূরণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। ফিফটির পরই অবশ্য আউট হয়ে ফিরে যান ‘হিটম্যান’ খ্যাত এই ওপেনার। রোহিতের বিদায়ে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ারের সঙ্গে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি কোহলি। দলীয় ২৮.৪ ওভারে রুলফ ফন ডার মারউইয়ের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। যাওয়ার আগে খেলেন ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস। এরপর মাঠে নামেন লোকেশ রাহুল।

রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাচ বোলারদের ওপর সুনামি বইয়ে দেন আইয়ার। এর মধ্যেই দুজন মিলে গড়েন শত রানের জুটি। দেখে-শুনে খেলে দলীয় ৪৫.৫ ওভারে বাস লিডের বলে চার মেরে শতক পূর্ণ করেন আইয়ার। মাত্র ৮৪ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই ব্যাটার।

আইয়ারের শতকের রেশ কাটতে না কাটতেই চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে দিয়ে মাত্র ৬২ বলে শতক তুলে নেন রাহুল, যা কিনা বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। দুজন মিলে ১২৮ বলে গড়েন ২০৮ রানের জুটি। তিন অঙ্কের ফিগার ছোঁয়ার পরই অবশ্য রাহুলের আউটে ভাঙে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত অপর প্রান্তে ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার। রাহুলের আউটে ক্রিজে আসা সূর্যকুমার যাদব অপরাজিত থাকেন ২ রানে।