ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রশিবির সরকারি বাঙলা কলেজের সভাপতি- আবির ও সেক্রেটারি- সাকিব Logo গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল জামায়াতের বিক্ষোভ Logo আওয়ামী বাকশালীদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেব না: পিনাকী ভট্টাচার্য Logo লঙ্কানদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ Logo গোপালগঞ্জ জেলায় আগামীকালের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত Logo গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের হামলার প্রতিবাদের রাবিতে বিক্ষোভ Logo এডওয়ার্ড কলেজে ‘জুলাই দিবস ২০২৫’ পালিত: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন Logo জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo ১৯ তারিখের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে কুমারখালীতে জামায়াতের প্রচার মিছিল Logo লঙ্কানদের ১৩২ রানে আটকে দিল টাইগাররা

খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার (০৬ মে) হয় প্রথম দিনের শুনানি।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যে যুক্তিতর্ক তারা তুলে ধরেছেন তাতে খালাস পাবেন এই জামায়াত নেতা। এর আগে গত ৮ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর এবং চার নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম।

এ ছাড়া পাঁচ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ছয় নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ছয় নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রশিবির সরকারি বাঙলা কলেজের সভাপতি- আবির ও সেক্রেটারি- সাকিব

খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম

আপডেট সময় ১০:০৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার (০৬ মে) হয় প্রথম দিনের শুনানি।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যে যুক্তিতর্ক তারা তুলে ধরেছেন তাতে খালাস পাবেন এই জামায়াত নেতা। এর আগে গত ৮ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর এবং চার নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম।

এ ছাড়া পাঁচ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ছয় নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ছয় নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।