দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’এই স্লোগানে কুষ্টিয়ায় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেছেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
গণশুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়ব আগামীর শুদ্ধতা’ ¯স্লোগানে এই গণশুনানিতে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। কেউ ঘুষ দিয়েও সেবা পাননি, কেউ জমি খারিজ করতে পারছে না, কেউ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি, দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ নেওয়াসহ এ রকম নানা অভিযোগের তোলেন সেবাগ্রহীতা ভুক্তভোগীরা।
উপস্থিত অতিথিরা সরাসরি তাদের সমস্যার কথাগুলো শুনেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে এ সব অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।
বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে জমা পড়া প্রায় ২০০টি অভিযোগের মধ্যে দুদক আইনে উপস্থাপনযোগ্য ৬৪টি অভিযোগ নিয়ে শুনানি হয়। অধিকাংশ অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। ৫টি অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুদককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর দুইটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান, দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওসানী।
গণশুনানিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ছাত্রজনতাসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি বিভিন্ন দফতরে পরিসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই এই গণশুনানির মূল লক্ষ্য।