ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন।

সোমবার (২৬ মে) জোহরবাদ গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে শামসুল হুদা মানিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ আছর রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা শেষে মরদেহ টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্তান ও স্বজনরা শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানান। পরে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা, এক ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাজুড়ে ও বিচার বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ’৮০-এর দশকে দীর্ঘদিন তিনি পর্যায়ক্রমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের পরে তিনি দীর্ঘদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু 

বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

আপডেট সময় ০৮:৩১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন।

সোমবার (২৬ মে) জোহরবাদ গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে শামসুল হুদা মানিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ আছর রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা শেষে মরদেহ টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্তান ও স্বজনরা শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানান। পরে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা, এক ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাজুড়ে ও বিচার বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ’৮০-এর দশকে দীর্ঘদিন তিনি পর্যায়ক্রমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের পরে তিনি দীর্ঘদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।