ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ Logo রাকসু নির্বাচন: কোন হলের ভোটারা কোন কেন্দ্রে ভোট দেবেন? Logo কোরআন ছুঁয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আ.লীগ নেত্রীকে রক্ষার আশ্বাস বিএনপি নেতার Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Logo ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে- ড. ইফতেখারুজ্জামান Logo পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল,নিহত ২ Logo ৮০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই ,বেড়েছে ডিমের দাম Logo উত্তাল ফ্রান্স, রাস্তায় লক্ষাধিক মানুষ Logo শুরু হয়েছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি, শেষ হবে দুপুর ১২টায় Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬

‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী’

‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী’

জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে করিডোর ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “করিডোর, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সেনাবাহিনী আপসহীন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”

মব তৈরির বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “কেউ যদি মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী।”

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফের পোশাক উদ্ধারের বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনাটি উদ্বেগজনক। সেনাবাহিনী গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং আগষ্ট থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।এছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া গত ২০ মে ভাষানটেক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ২৮ রাউন্ড গুলিসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিটলু বাবুসহ তার গ্যাং এর দশ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্থি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।

এতে বলা হয়, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিগত ৪০ দিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিগত এক মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং বিপননের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জেলি মিশ্রিত চিংড়িসহ সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযান স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্তির আস্থা সৃষ্টি করেছে।

সেনাবাহিনী জানায়, জুলাই অভ্যুথ্যানে ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী’

আপডেট সময় ০৫:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে করিডোর ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “করিডোর, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সেনাবাহিনী আপসহীন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”

মব তৈরির বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “কেউ যদি মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী।”

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফের পোশাক উদ্ধারের বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনাটি উদ্বেগজনক। সেনাবাহিনী গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং আগষ্ট থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।এছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া গত ২০ মে ভাষানটেক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ২৮ রাউন্ড গুলিসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিটলু বাবুসহ তার গ্যাং এর দশ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্থি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।

এতে বলা হয়, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিগত ৪০ দিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিগত এক মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং বিপননের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জেলি মিশ্রিত চিংড়িসহ সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযান স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্তির আস্থা সৃষ্টি করেছে।

সেনাবাহিনী জানায়, জুলাই অভ্যুথ্যানে ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।