ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চলতি মাসের ২৪ দিনে এল ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স Logo কুমারখালী সাহিত্য সংসদের আয়োজন জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মজয়ন্তী পালন Logo কবি নজরুল কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন Logo বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন: আমেরিকা Logo সবাই একসঙ্গে বসায় মনে সাহস পেলাম: প্রধান উপদেষ্টা Logo হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবকের বিষপান Logo মধুপুর শালবনে আবারও শাল গাছ ফেরত আনার ঘোষণা উপদেষ্টা রিজওয়ানার Logo ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান Logo ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’ Logo ‘স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না’

হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবকের বিষপান

হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবকের বিষপান

পুনর্বাসনসহ দুই দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে বিষপান করেছেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো চার যুবক।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে চলমান বৈঠকের সময় তারা বিষপান করেন। আক্রান্তরা হলেন—শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)।

তাদের দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে চলমান বৈঠকের সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে তার কক্ষে যান। সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানেই বিষপান করেন তারা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কাছে আগে থেকেই বিষ ছিল।

জুলাই গণ-আন্দোলনে চোখ হারানো আহতরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ৯ মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা বাহানা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেও তা বাস্তবে ঘটেনি।

আহতদের একজন বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আন্দোলনে নামতেই হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে কিছু চাওয়া যায় না। আমাদের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও এই বিষয়ে ভূমিকা হতাশাজনক। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কিংবা গণ অধিকার—সবাই শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখছে, আমাদের নিয়ে কারো চিন্তা নেই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে ভর্তি থাকা ৪ জন আজ বিষপান করেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি মাসের ২৪ দিনে এল ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবকের বিষপান

আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পুনর্বাসনসহ দুই দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে বিষপান করেছেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো চার যুবক।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে চলমান বৈঠকের সময় তারা বিষপান করেন। আক্রান্তরা হলেন—শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)।

তাদের দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে চলমান বৈঠকের সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে তার কক্ষে যান। সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানেই বিষপান করেন তারা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কাছে আগে থেকেই বিষ ছিল।

জুলাই গণ-আন্দোলনে চোখ হারানো আহতরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ৯ মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা বাহানা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেও তা বাস্তবে ঘটেনি।

আহতদের একজন বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আন্দোলনে নামতেই হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে কিছু চাওয়া যায় না। আমাদের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও এই বিষয়ে ভূমিকা হতাশাজনক। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কিংবা গণ অধিকার—সবাই শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখছে, আমাদের নিয়ে কারো চিন্তা নেই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে ভর্তি থাকা ৪ জন আজ বিষপান করেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।