কোরবানি পশু জবাই শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রতিবারই অনেক চামড়া নষ্ট হয়। আমরা চাই, বিক্রেতারা চামড়ার নায্য মূল্য পাক। চামড়ার নায্যমূল্য গরিবের হক। চামড়াগুলো বিভিন্ন গরিব মানুষকে, এতিমখানায়, মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এটার নায্যমূল্য পান না। এবার তারা যাতে নায্যমূল্য পায়, সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর আমরা চেষ্টা করছিলাম হাসিলটা কমানো যায় কিনা। তাদের সঙ্গে আমরা বসে আলোচনা করে বলেছি, ৫ শতাংশ হাসিল অনেক বেশি। এটা কমানো যায় কিনা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও হাসিল কমাতে পারিনি। আগামীবার হয়তো আমরা থাকবো না, কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি আগামীবার থেকে হাসিল যাতে ৩ শতাংশের বেশি না হয়। এবার দুই দিকে ২০টি হাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব হাটে যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা পশুর হাটে চিকিৎসক এর ব্যবস্থা করেছি। কোনো অসুস্থ গরু যেন বিক্রি হতে না পারে। এছাড়া অনেকেই গরুর হাটে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে; তাদের জন্যও চিকিৎসক থাকবে। প্রতিটি হাটের দায়িত্বশীলরা এটার বন্দোবস্ত করবে। প্রতিটি হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যেক আনসার সদস্য থাকবে।’