ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৫ দিন ধরে ঝুলছে তালা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ১৫ দিন ধরে তালা ঝুলছে। গত ২৯ অক্টোর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেউ কার্যালয়ের আশপাশেও আসছেন না। দলটির কার্যালয়ের সামনে এখনো পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।

নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ফুটপাতে পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছেন। আর কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগানো। কার্যালয়ের সামনের সড়কে এখনো লোহার ব্যারিকেড রাখা। কার্যালয়ের ফটকের ভেতরের দিকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে খাম পড়ে আছে। এসব চিঠির কয়েকটিতে প্রাপকের ঠিকানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে কে তালা লাগিয়েছে সে বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী বলেন, কার্যালয়ে লাগানো তালার চাবি বিএনপির নেতাদের কাছেই আছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কার্যালয়ে আসতেও নিষেধ করা হয়নি। আর যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রূহুল কবির রিজভী গতকাল বিকেলে ভার্চ্যুয়াল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তালা মেরে প্রতি মুহূর্তে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক কাজ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এখন কে কোথায় আছেন, সেটিও দলের নেতারা বলতে পারছেন না।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের আগে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কার্যালয়ের পূর্ব পাশে নয়াপল্টন জামে মসজিদের গলিতে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ভিড় জমাতেন। দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে গলির মুখেও পুলিশের একটি গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৫ দিন ধরে ঝুলছে তালা

আপডেট সময় ১২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ১৫ দিন ধরে তালা ঝুলছে। গত ২৯ অক্টোর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেউ কার্যালয়ের আশপাশেও আসছেন না। দলটির কার্যালয়ের সামনে এখনো পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।

নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ফুটপাতে পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছেন। আর কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগানো। কার্যালয়ের সামনের সড়কে এখনো লোহার ব্যারিকেড রাখা। কার্যালয়ের ফটকের ভেতরের দিকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে খাম পড়ে আছে। এসব চিঠির কয়েকটিতে প্রাপকের ঠিকানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে কে তালা লাগিয়েছে সে বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী বলেন, কার্যালয়ে লাগানো তালার চাবি বিএনপির নেতাদের কাছেই আছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কার্যালয়ে আসতেও নিষেধ করা হয়নি। আর যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রূহুল কবির রিজভী গতকাল বিকেলে ভার্চ্যুয়াল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তালা মেরে প্রতি মুহূর্তে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক কাজ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এখন কে কোথায় আছেন, সেটিও দলের নেতারা বলতে পারছেন না।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের আগে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কার্যালয়ের পূর্ব পাশে নয়াপল্টন জামে মসজিদের গলিতে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ভিড় জমাতেন। দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে গলির মুখেও পুলিশের একটি গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।