ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

কৃষকদল সভাপতিকে হত্যার পর ২০ হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

কৃষকদল সভাপতিকে হত্যার পর ২০ হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, যাতে পুড়ে ভস্ম হয় ২০টি বাড়ি। যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৪৮) সরদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন একদল লোক।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত তরিকুল ইসলাম পৌর কৃষক দলের সভাপতি ও পৌরসভার ধোপাদি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (২৩ মে) ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে গেলে দেখা যায়, বাড়িগুলো আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কয়েকটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখা গেছে, আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, জামা-কাপড় ও লেপ-তোশক-বিছানা কয়লা হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর একদল লোক ডহর মশিয়াহাটীতে এসে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণ লুট করার পর একের পর এক বাড়িতে আগুন দেয়। অনেককে মারধর করা হয়। আগুনে ধানের গোলা, বসত ঘর ও গোয়ল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর রাত ৯টার দিকে সুন্দলী ইউনিয়নের সুন্দলী বাজারে চারটি দোকান লুট করা হয় ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাজার থেকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুব্রত মন্ডলের মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন নাম না জানা লোকজন।

ভুক্তভোগী এক নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বাড়ির কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব আগুনে পুড়ে গেছে। পাসপোর্ট ও ওষুধ ছিল, তার সব পুড়ে গেছে। কী কী হারিয়েছেন এর তালিকা করতে বললে তিনি জানান, তালিকা করে কোনো লাভ নেই। কোনো কিছুই আর ফিরে পাব না। বাড়ির ছয়টি মানুষ বেঁচে আছি এটাই অনেক।

অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এর প্রতিবাদে কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

কৃষকদল সভাপতিকে হত্যার পর ২০ হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় ১১:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, যাতে পুড়ে ভস্ম হয় ২০টি বাড়ি। যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৪৮) সরদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন একদল লোক।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত তরিকুল ইসলাম পৌর কৃষক দলের সভাপতি ও পৌরসভার ধোপাদি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (২৩ মে) ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে গেলে দেখা যায়, বাড়িগুলো আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কয়েকটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখা গেছে, আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, জামা-কাপড় ও লেপ-তোশক-বিছানা কয়লা হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর একদল লোক ডহর মশিয়াহাটীতে এসে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণ লুট করার পর একের পর এক বাড়িতে আগুন দেয়। অনেককে মারধর করা হয়। আগুনে ধানের গোলা, বসত ঘর ও গোয়ল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর রাত ৯টার দিকে সুন্দলী ইউনিয়নের সুন্দলী বাজারে চারটি দোকান লুট করা হয় ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাজার থেকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুব্রত মন্ডলের মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন নাম না জানা লোকজন।

ভুক্তভোগী এক নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বাড়ির কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব আগুনে পুড়ে গেছে। পাসপোর্ট ও ওষুধ ছিল, তার সব পুড়ে গেছে। কী কী হারিয়েছেন এর তালিকা করতে বললে তিনি জানান, তালিকা করে কোনো লাভ নেই। কোনো কিছুই আর ফিরে পাব না। বাড়ির ছয়টি মানুষ বেঁচে আছি এটাই অনেক।

অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এর প্রতিবাদে কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।