ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের জরুরী বৈঠক ডাকলেন ট্রাম্প Logo ইরানের রাজধানীতে বিস্ফোরণ, সবাইকে তেহরান ছাড়তে বললেন ট্রাম্প Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo ইরানের হামলায় ইসরায়েলি তেল পরিশোধনাগার বিধ্বস্ত, নিহত ৩ Logo জয়পুরহাটে সড়কে প্রাণ গেল শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারীর Logo ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ইবি শিক্ষার্থী সৈকত Logo কুষ্টিয়ায় ষ্টেশনের সংস্কারের দাবিতে আপ বাংলাদেশের গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল, দাবি নেতানিয়াহু Logo বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ Logo নাটোরে আ’মী লীগ নেতা মনজুর রহসান মঞ্জু হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

বিএনপি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার দিকে এগোচ্ছে-সামান্তা শারমিন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পুনর্গঠন ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কমিশনের প্রতি তাদের অনাস্থা রয়েছে এবং এটি ‘বিএনপির কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সামান্তা শারমিন জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবে এনসিপি। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, বর্তমান ইসি নিয়ে তাদের গভীর আপত্তি রয়েছে। তার ভাষায়, “এই কমিশন বিএনপির সঙ্গে কানেক্টেড, জনগণের সঙ্গে নয়।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক কমিটির সময় থেকেই আমরা ইসি পুনর্গঠন, সীমানা পুনর্বিন্যাসসহ নির্বাচনী কাঠামো সংস্কারের কথা বলে আসছি। এটা কোনো নির্দিষ্ট দলের স্বার্থরক্ষার বিষয় নয়— রাষ্ট্র ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের দাবি।”

বিএনপির সঙ্গে এনসিপির রাজনৈতিক দূরত্ব স্পষ্ট উল্লেখ করে সামান্তা বলেন, “ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিএনপি যেভাবে ছাত্র উপদেষ্টাদের একচেটাভাবে আক্রমণ করেছে, তাতে বোঝা যায় তারা প্রশাসনে কতটা ক্ষমতাবান এবং সেই ক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়।”

তিনি বলেন, “এখনই যদি বিএনপি এভাবে ‘পাওয়ার হাংরি’ হয়ে পড়ে, নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে, তা ভেবে শঙ্কা জাগে। এই প্রেক্ষাপটে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক।”

জামায়াত নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সামান্তা শারমিন বলেন, “তাদের নির্বাচনী প্রস্তাবে কিছু বিষয়ে মিল থাকলেও আমরা একত্র নই। সব দলই স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত দেবে, তবে প্রয়োজন হলে কিছু বিষয়ে একমত হওয়া যেতে পারে।”

এনসিপি নেত্রী বলেন, “জুলাই সনদ আমাদের স্পষ্ট দাবি। ১৫ দিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে ৩০ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সনদ দিতে হবে। দ্বিতীয়বার আর হেলাফেলা মেনে নেওয়া যাবে না।”

সামান্তা শারমিন মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। বলেন, “ঢাকার পরিস্থিতি দিয়ে সারা দেশকে মাপা যাবে না। স্থানীয় সরকার না থাকায় তৃণমূল জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব— অবিলম্বে এই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”

তিনি জানান, গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আলাদা সময় লাগবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমা যথেষ্ট। “নতুন কোনো সময়সীমার কথা আমরা শুনিনি, আগের ঘোষণাই বহাল থাকুক,”— বলেন সামান্তা শারমিন।

ডিসেম্বরের আগেই স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মত দেন এনসিপির এই নেতা। বলেন, “সরকার সদিচ্ছা দেখালে, রাজনৈতিক সমঝোতা হলে এবং উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের স্পিরিট স্মরণ রাখলে সবই সম্ভব।”

জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের জরুরী বৈঠক ডাকলেন ট্রাম্প

বিএনপি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার দিকে এগোচ্ছে-সামান্তা শারমিন

আপডেট সময় ০৯:২৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পুনর্গঠন ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কমিশনের প্রতি তাদের অনাস্থা রয়েছে এবং এটি ‘বিএনপির কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সামান্তা শারমিন জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবে এনসিপি। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, বর্তমান ইসি নিয়ে তাদের গভীর আপত্তি রয়েছে। তার ভাষায়, “এই কমিশন বিএনপির সঙ্গে কানেক্টেড, জনগণের সঙ্গে নয়।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক কমিটির সময় থেকেই আমরা ইসি পুনর্গঠন, সীমানা পুনর্বিন্যাসসহ নির্বাচনী কাঠামো সংস্কারের কথা বলে আসছি। এটা কোনো নির্দিষ্ট দলের স্বার্থরক্ষার বিষয় নয়— রাষ্ট্র ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের দাবি।”

বিএনপির সঙ্গে এনসিপির রাজনৈতিক দূরত্ব স্পষ্ট উল্লেখ করে সামান্তা বলেন, “ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিএনপি যেভাবে ছাত্র উপদেষ্টাদের একচেটাভাবে আক্রমণ করেছে, তাতে বোঝা যায় তারা প্রশাসনে কতটা ক্ষমতাবান এবং সেই ক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়।”

তিনি বলেন, “এখনই যদি বিএনপি এভাবে ‘পাওয়ার হাংরি’ হয়ে পড়ে, নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে, তা ভেবে শঙ্কা জাগে। এই প্রেক্ষাপটে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক।”

জামায়াত নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সামান্তা শারমিন বলেন, “তাদের নির্বাচনী প্রস্তাবে কিছু বিষয়ে মিল থাকলেও আমরা একত্র নই। সব দলই স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত দেবে, তবে প্রয়োজন হলে কিছু বিষয়ে একমত হওয়া যেতে পারে।”

এনসিপি নেত্রী বলেন, “জুলাই সনদ আমাদের স্পষ্ট দাবি। ১৫ দিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে ৩০ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সনদ দিতে হবে। দ্বিতীয়বার আর হেলাফেলা মেনে নেওয়া যাবে না।”

সামান্তা শারমিন মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। বলেন, “ঢাকার পরিস্থিতি দিয়ে সারা দেশকে মাপা যাবে না। স্থানীয় সরকার না থাকায় তৃণমূল জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব— অবিলম্বে এই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”

তিনি জানান, গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আলাদা সময় লাগবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমা যথেষ্ট। “নতুন কোনো সময়সীমার কথা আমরা শুনিনি, আগের ঘোষণাই বহাল থাকুক,”— বলেন সামান্তা শারমিন।

ডিসেম্বরের আগেই স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মত দেন এনসিপির এই নেতা। বলেন, “সরকার সদিচ্ছা দেখালে, রাজনৈতিক সমঝোতা হলে এবং উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের স্পিরিট স্মরণ রাখলে সবই সম্ভব।”