ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশের প্রবল সংঘাতময় ও অস্থিতিশীল সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে মরিয়া হয়ে উঠছে নির্বাচন কমিশন। পরিবেশ সৃষ্টি না করে সরকারের মনোবাসনা পূরণে তফসিল ঘোষণা করলে দেশ ভয়াবহ সংঘাতে পতিত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে পল্টনস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দলের শীর্ষ দায়িত্বশীলদের সাথে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য বর্তমান সময় মোটেও অনুকূলে নয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী নয়। জোর জবরধস্তির করে একতরফা নির্বাচন করলে নির্বাচন কমিশনকে রুখে দেবে জনগণ। নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল আন্দোলন করে আসছে।
নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে তা ঠিক না করে কোনোভাবেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে না। সম্প্রতি দুইটি উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকাশ্যে সিল মারার ভিডিও ফুটেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির প্রয়োগ করে ভীতিকর পরিবেশে নির্বাচন করে জাতীয় নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন করার সাহস করে কিভাবে? কাজেই তফষিল ঘোষণা না করে পদত্যাগ করা উচিত দলবাজ সিইসির।
এ রকম অবস্থায় একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে চরম কাণ্ডজ্ঞানহীন হিসেবে চিহ্নিত হবে। আগের দুটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের তফসিল সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে না। আন্দোলনকারী দল ও দেশবাসী এই তফসি মানবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
মুফতী ফয়জুল করীম আরো বলেন, দেশ ও জনগণের সেবায় মনোযোগ না দিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার সিন্ডিকেট এবং ব্যাংক লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশটাকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। জনমত এখন সম্পূর্ণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সব বন্দিকে মুক্তি দিয়ে হয় সমঝোতায় শেষ সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।