বাঁশখালী উপজেলার কালীপুরের সুস্বাদু লিচু এবার মৌসুমের শুরুতেই বাজারে এসেছে। রসালো ও মিষ্টি স্বাদের জন্য কালীপুরের লিচু ইতোমধ্যে স্থানীয় বাজারে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। কালীপুরের লিচুর চাহিদা প্রতিবছরই অনেক বেশি থাকে। তবে চলতি বছর উৎপাদন ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
লিচু গাছে এবার ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় কৃষকরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেশি, আশানুরূপ ফল না থাকায় দাম এ বছর একটু বাড়তি। বাঁশখালী উপজেলা বিখ্যাত কালীপুর লিচুর জন্য। এছাড়া জলদি, জঙ্গল চাম্বল, পুইছড়ি, বৈলছড়ি, পুকুরিয়সহ প্রতিটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ও ঘরোয়াভাবে পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় লিচুর চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানায়, এবার বাঁশখালীতে ৭১০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে।
এছাড়া মধ্যে কালীপুরের ৩০০ হেক্টর, বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঘরোয়াভাবে সহ পুরো উপজেলায় সাড়ে ৮০০ হেক্টর বাগানে বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। তবে বৈলছড়ির লিচু চাষী আবু সাদেক জানান, শুরুর দিকে বৃষ্টি না হওয়া, আবহাওয়াসহ কিছু কারণে এবার লিচুর ফলন কম হয়েছে। প্রতিবছর ১৫ লক্ষের অধিক টাকার লিচু উৎপাদন হয়, এ বছর তার একলক্ষও হয়নি বলে জানান।
বাজারে প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০থেকে ৫০০/৬০০ টাকায়।
আজ বৈলছড়ি স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা ও আধা-পাকা লিচুর পাশাপাশি পাকা লিচুও বিক্রি হচ্ছে। চাষীরা ভালো দামের আশায় চট্টগ্রাম শহরে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এই চলে যাচ্ছে। সারা দেশে এই লিচুর বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু ছালেক বলেন, অন্যনা বছরের তুলনায় এ বছর লিচুর ফলন কম হয়েছে, অনাবৃষ্টি, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, পাহাড়ে পানি সংকট, সঠিক সময়ে পরিচর্যা না করার কারণে ফলন কম হতে পারে, অধিক ফলনের আশায় কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে হরমোনগত সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে এক বছর ফলন ভালো হলে আরেক বছর ফলন কম হতে পারে, লিচুর ফলন সব জায়গায় খারাপ হয়েছে এমন নয় কিছু কিছু জায়গায় লিচুর ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান।