ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করল সরকার Logo গাজা শহর দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে হাজারো ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ Logo নির্বাচনে সামান্যতম পক্ষপাতিত্ব দেখালে ব্যবস্থা: ইসি সানাউল্লাহ Logo সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি Logo রাষ্ট্র শুধু আইন দেখায়, কবরের অপেক্ষা করে—আক্ষেপ জুলাই আহত খালেদ মাহমুদের Logo খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ,নতুন ৪৫ লাখ Logo ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা Logo নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা Logo আজ থেকে ট্রাকে তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করবে টিসিবি Logo আজ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ

কবরস্থানের গাছ বিক্রি করলো বিএনপি নেতা

ফাইল ছবি

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় সর্বজনীন কবরস্থানের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক তালুকদার।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল ইসলাম।

অভিযুক্ত ইসহাক মিয়া বারহাট্টা উপজেলা শহরের পূর্ববাজার এলাকার মৃত আব্দুল আমিনের ছেলে। তিনি সাবেক উপজেলা বিএনপির সদস্য। অপর অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রিকালিকা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর ওরফে কেনু মিয়ার ছেলে। তিনি বারহাট্টা সরকারি কলেজের হিসাবরক্ষক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল তবিয়তে থেকেও সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত আছেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিক আহমেদ কমল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী (মেম্বার) তাদের দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সর্বজনীন কবরস্থানে কয়েক বছর আগে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করেছিলেন। পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এসব গাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও গত ১৫ থেকে ১৭ মে’র মধ্যে রাতে গোপনে বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গাছগুলো কেটে নিয়ে যায় কিছু অসাধু ব্যক্তি। এই ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। গাছ কর্তনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করা হয়।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী জানান, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এ ধরনের কাজকর্ম কাম্য নয়। এগুলো প্রতিহত না করলে দলের ইমেজ নষ্ট হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইসহাক মিয়া সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।

অপর অভিযুক্ত কিবরিয়া জানান, আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করার লক্ষ্যে ইউএনওর পরামর্শ নিয়ে গাছ কেটেছি। কিছু লোক বিষয়টির বিরোধিতা করছে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতায় যাবো।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিক আহমেদ কমল বলেন, আমি জেনেছি সকলের সঙ্গে কথা বলেই গাছ কেটেছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। কিবরিয়া পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন। আমরা যেকোনো সময় সেটি একসেপ্ট করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল ইসলাম জানান, এটি সরকারি কবরস্থান নয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরস্থান থাকলে তা তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে কাটতে পারেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করল সরকার

কবরস্থানের গাছ বিক্রি করলো বিএনপি নেতা

আপডেট সময় ১১:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় সর্বজনীন কবরস্থানের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক তালুকদার।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল ইসলাম।

অভিযুক্ত ইসহাক মিয়া বারহাট্টা উপজেলা শহরের পূর্ববাজার এলাকার মৃত আব্দুল আমিনের ছেলে। তিনি সাবেক উপজেলা বিএনপির সদস্য। অপর অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রিকালিকা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর ওরফে কেনু মিয়ার ছেলে। তিনি বারহাট্টা সরকারি কলেজের হিসাবরক্ষক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল তবিয়তে থেকেও সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত আছেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিক আহমেদ কমল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী (মেম্বার) তাদের দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সর্বজনীন কবরস্থানে কয়েক বছর আগে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করেছিলেন। পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এসব গাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও গত ১৫ থেকে ১৭ মে’র মধ্যে রাতে গোপনে বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গাছগুলো কেটে নিয়ে যায় কিছু অসাধু ব্যক্তি। এই ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। গাছ কর্তনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করা হয়।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী জানান, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এ ধরনের কাজকর্ম কাম্য নয়। এগুলো প্রতিহত না করলে দলের ইমেজ নষ্ট হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইসহাক মিয়া সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।

অপর অভিযুক্ত কিবরিয়া জানান, আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করার লক্ষ্যে ইউএনওর পরামর্শ নিয়ে গাছ কেটেছি। কিছু লোক বিষয়টির বিরোধিতা করছে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতায় যাবো।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিক আহমেদ কমল বলেন, আমি জেনেছি সকলের সঙ্গে কথা বলেই গাছ কেটেছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। কিবরিয়া পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন। আমরা যেকোনো সময় সেটি একসেপ্ট করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল ইসলাম জানান, এটি সরকারি কবরস্থান নয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরস্থান থাকলে তা তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে কাটতে পারেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।