ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সাবেক সমন্বয়ক যোগ দিলেন ছাত্রদলে Logo ডাকসু জয়ের সাথে একাডেমিক সাফল্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অপু Logo আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে চান ফখরুল Logo নিউইয়র্কে রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন আনসারী Logo হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে ভয় পাইনি, ভাঙা ডিমে যায় আসে না: আখতার হোসেন Logo অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূ নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা Logo চৌদ্দগ্রামে চিহ্নিত গরু চো/র মানিক এখন যুবদল নেতা! Logo আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা: প্রেস সচিব Logo সুন্দরগঞ্জে হঠাৎ অচেনা রোগে গরু-ছাগলের মৃত্যু,আক্রান্ত হচ্ছে মানুষও Logo নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা

শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল,চলতি সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন হতে পারে

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি সপ্তাহে নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। এর আগে কর্তৃপক্ষের এক সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মো. হেলালুজ্জামান সরকার গণমাদ্যমকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা সংক্রান্ত ফাইল উপরে তোলা হয়েছে। আশা করছি চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কোনো কারণে চলতি সপ্তাহে না হলে প্রজ্ঞাপনটি আগামী সপ্তাহে হবে।’

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল। সেই আবেদনের আলোকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সভা হয়েছে। সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়। এ মতামতের ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তথ্যমতে, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু করা হয়। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার নতুন আদেশ জারি করে তা বাধ্যতামূলক করে। এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অনগ্রসর এলাকায় নারী প্রার্থীর চরম সঙ্কট দেখা দেয়। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় নারী কোটা শিথিল করে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডেই (৯ম-২০) ৭ শতাংশে কোটা রেখে বাকি ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সাবেক সমন্বয়ক যোগ দিলেন ছাত্রদলে

শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল,চলতি সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন হতে পারে

আপডেট সময় ১০:৩৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি সপ্তাহে নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। এর আগে কর্তৃপক্ষের এক সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মো. হেলালুজ্জামান সরকার গণমাদ্যমকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা সংক্রান্ত ফাইল উপরে তোলা হয়েছে। আশা করছি চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কোনো কারণে চলতি সপ্তাহে না হলে প্রজ্ঞাপনটি আগামী সপ্তাহে হবে।’

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল। সেই আবেদনের আলোকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সভা হয়েছে। সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়। এ মতামতের ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তথ্যমতে, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু করা হয়। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার নতুন আদেশ জারি করে তা বাধ্যতামূলক করে। এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অনগ্রসর এলাকায় নারী প্রার্থীর চরম সঙ্কট দেখা দেয়। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় নারী কোটা শিথিল করে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডেই (৯ম-২০) ৭ শতাংশে কোটা রেখে বাকি ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।