জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে, তবে ইত্যবসরে পিছিয়েও ২০২৬ সালের জুনের পরে যাবে না—এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাত কিছুটা স্থিতিশীল করলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনও দুর্বল, আর রাজনৈতিক মেরুকরণও ভঙ্গুরই রয়ে গেছে।
নিজের নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না-নেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বলেও জানান ইউনূস।
তিনি বলেন, `ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করবে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুলে দেবে এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়তা করবে।
তবে ঐক্যে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয়। কোন কোন কমিশন থাকা উচিত, তা নিয়েই রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য শুরুতেই রয়েছে।’ কেউ কেউ বলছেন, দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কারো অভিযোগ, শিক্ষা খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা অনেক পরে গঠিত হয়।
এই কমিশন ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করে, যাতে নারীদের অধিক অধিকার দেওয়া হয়, আর এতেই ইসলামপন্থী দলগুলো ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে।
ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ ইস্যুতে বলা হয়, ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।