ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা Logo বিএনপি কার্যালয়ে আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার Logo কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ শুরু Logo মুফতি ফয়জুল করীমকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার, সতর্ক করল ইসলামী আন্দোলন Logo ট্রাম্প কি ইরানের পারমাণবিক শক্তির সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিলেন? Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ গ্রেপ্তার Logo ভোটার তালিকার ভুল এড়াতে যেসব নির্দেশনা দিল ইসি Logo ‘জুয়াড়ি ট্রাম্প’ যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, শেষ করব আমরা: আইআরজিসির মুখপাত্র Logo ইসরাইলে গোয়েন্দা সহযোগিতার দায়ে ইরানে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর Logo মব জাস্টিসের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শ্রমিক আন্দোলন বিএনপির স্টান্টবাজি: শাজাহান খান

পোশাকশ্রমিকরা যে আন্দোলন করছেন তাকে বিএনপির রাজনৈতিক স্টান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবুও বিএনপির প্ররোচনায় কতিপয় ব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তারা পোশাক সেক্টরকে ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। হরতাল-অবরোধে ব্যর্থ হয়ে এখন সাধারণ শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার চেষ্টা করছে। শ্রমিকরা যেন বিএনপির স্টান্টবাজি থেকে সরে আসেন।

আন্দোলনের সময় গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কিছুদিন যাবত গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের নামে কারখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ, শ্রমিক নিহত ও গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব কোনোটিই কাঙ্ক্ষিত নয়। শ্রমিকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাদের পরিবার প্রতি সমবেদনা জানাই।

শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মজুরি ঘোষণা করেছেন, তা সাধারণ শ্রমিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তারা আজ খুশি, আনন্দিত। আমরা শ্রমিক ভাইবোনদের আহ্বান জানাই, তারা যেন কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে, ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে রুটি-রুজির উৎস কারখানা ধ্বংস না করেন। দেশ ও গার্মেন্টস সেক্টরকে রক্ষার জন্য, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কারখানায় যোগদান করে কাজে ফিরে আসুন।

মজুরি বাড়ানোর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন মজুরি আর বৃদ্ধির সুযোগ নেই। আবার নির্দিষ্ট সময়ে মজুরি বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেই দিয়েছেন। শ্রমিকদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করে দিয়েছেন, এই কার্ড দিয়ে তারা ন্যায্যমূল্যে জিনিস কিনতে পারবেন।

৭ নভেম্বর মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে, পোশাকশ্রমিকদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করছে শ্রমিকদের একটি অংশ।

ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা

শ্রমিক আন্দোলন বিএনপির স্টান্টবাজি: শাজাহান খান

আপডেট সময় ০৪:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

পোশাকশ্রমিকরা যে আন্দোলন করছেন তাকে বিএনপির রাজনৈতিক স্টান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবুও বিএনপির প্ররোচনায় কতিপয় ব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তারা পোশাক সেক্টরকে ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। হরতাল-অবরোধে ব্যর্থ হয়ে এখন সাধারণ শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার চেষ্টা করছে। শ্রমিকরা যেন বিএনপির স্টান্টবাজি থেকে সরে আসেন।

আন্দোলনের সময় গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কিছুদিন যাবত গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের নামে কারখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ, শ্রমিক নিহত ও গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব কোনোটিই কাঙ্ক্ষিত নয়। শ্রমিকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাদের পরিবার প্রতি সমবেদনা জানাই।

শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মজুরি ঘোষণা করেছেন, তা সাধারণ শ্রমিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তারা আজ খুশি, আনন্দিত। আমরা শ্রমিক ভাইবোনদের আহ্বান জানাই, তারা যেন কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে, ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে রুটি-রুজির উৎস কারখানা ধ্বংস না করেন। দেশ ও গার্মেন্টস সেক্টরকে রক্ষার জন্য, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কারখানায় যোগদান করে কাজে ফিরে আসুন।

মজুরি বাড়ানোর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন মজুরি আর বৃদ্ধির সুযোগ নেই। আবার নির্দিষ্ট সময়ে মজুরি বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেই দিয়েছেন। শ্রমিকদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করে দিয়েছেন, এই কার্ড দিয়ে তারা ন্যায্যমূল্যে জিনিস কিনতে পারবেন।

৭ নভেম্বর মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে, পোশাকশ্রমিকদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করছে শ্রমিকদের একটি অংশ।