ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৫ বছরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সরকারি তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনই কৃষক—অর্থাৎ মোট মৃত্যুর প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সর্বশেষ ১২ মে লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ৭০ বছরের আজগর আলী। এর আগের দিন আজমিরীগঞ্জের ডেমিকান্দি গ্রামের যুবক সাজু মিয়াও বজ্রপাতে প্রাণ হারান। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষকরা।

বিশেষ করে বোরো মৌসুমে ধান কাটতে হাওড়ে যাওয়া কৃষকরা বজ্রপাত আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি বছরই জেলার কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। হতভাগ্যদের বেশির ভাগই হাওড়ে ধান কাটতে যাওয়া কৃষক বা শ্রমিক।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়- ২০২১-২২ অর্থবছরে বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি লাইটনিং এরেস্টার (বজ্রনিরোধক যন্ত্র) বসানো হয়। এতে ব্যয় হয় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় ৩৩টি এরেস্টার স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

এরমধ্যে বাহুবল উপজেলায় দুটি, নবীগঞ্জে ছয়টি, বানিয়াচঙ্গে ৭টি, আজমিরীগঞ্জে ছয়টি, হবিগঞ্জ সদর তিনটি, লাখাই তিনটি, শায়েস্তাগঞ্জে দুটি, চুনারুঘাটে দুটি ও মাধবপুর দুটি রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী- প্রতিটি যন্ত্র চারপাশের ১০৮ মিটার এলাকায় বজ্রপাত নিরোধ ও তথ্য সংরক্ষণ করবে। কোটি কোটি টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও মাঠে এর কার্যকারিতা আছে কি না তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এ পর্যন্ত যন্ত্রগুলো কতটি বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট অফিসে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষা করতে হলে শুধু এরেস্টার বসিয়ে হবে না। এর সঙ্গে দরকার সচেতনতা বাড়ানো। হাওড়পাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্রসহ বজ্রপাত সহনশীল আশ্রয়কেন্দ্র যেন নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

আপডেট সময় ০১:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৫ বছরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সরকারি তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনই কৃষক—অর্থাৎ মোট মৃত্যুর প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সর্বশেষ ১২ মে লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ৭০ বছরের আজগর আলী। এর আগের দিন আজমিরীগঞ্জের ডেমিকান্দি গ্রামের যুবক সাজু মিয়াও বজ্রপাতে প্রাণ হারান। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষকরা।

বিশেষ করে বোরো মৌসুমে ধান কাটতে হাওড়ে যাওয়া কৃষকরা বজ্রপাত আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি বছরই জেলার কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। হতভাগ্যদের বেশির ভাগই হাওড়ে ধান কাটতে যাওয়া কৃষক বা শ্রমিক।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়- ২০২১-২২ অর্থবছরে বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি লাইটনিং এরেস্টার (বজ্রনিরোধক যন্ত্র) বসানো হয়। এতে ব্যয় হয় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় ৩৩টি এরেস্টার স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

এরমধ্যে বাহুবল উপজেলায় দুটি, নবীগঞ্জে ছয়টি, বানিয়াচঙ্গে ৭টি, আজমিরীগঞ্জে ছয়টি, হবিগঞ্জ সদর তিনটি, লাখাই তিনটি, শায়েস্তাগঞ্জে দুটি, চুনারুঘাটে দুটি ও মাধবপুর দুটি রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী- প্রতিটি যন্ত্র চারপাশের ১০৮ মিটার এলাকায় বজ্রপাত নিরোধ ও তথ্য সংরক্ষণ করবে। কোটি কোটি টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও মাঠে এর কার্যকারিতা আছে কি না তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এ পর্যন্ত যন্ত্রগুলো কতটি বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট অফিসে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষা করতে হলে শুধু এরেস্টার বসিয়ে হবে না। এর সঙ্গে দরকার সচেতনতা বাড়ানো। হাওড়পাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্রসহ বজ্রপাত সহনশীল আশ্রয়কেন্দ্র যেন নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।”