ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বাংলাদেশে শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণীত হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ অনুষ্ঠান

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৫ বছরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সরকারি তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনই কৃষক—অর্থাৎ মোট মৃত্যুর প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সর্বশেষ ১২ মে লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ৭০ বছরের আজগর আলী। এর আগের দিন আজমিরীগঞ্জের ডেমিকান্দি গ্রামের যুবক সাজু মিয়াও বজ্রপাতে প্রাণ হারান। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষকরা।

বিশেষ করে বোরো মৌসুমে ধান কাটতে হাওড়ে যাওয়া কৃষকরা বজ্রপাত আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি বছরই জেলার কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। হতভাগ্যদের বেশির ভাগই হাওড়ে ধান কাটতে যাওয়া কৃষক বা শ্রমিক।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়- ২০২১-২২ অর্থবছরে বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি লাইটনিং এরেস্টার (বজ্রনিরোধক যন্ত্র) বসানো হয়। এতে ব্যয় হয় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় ৩৩টি এরেস্টার স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

এরমধ্যে বাহুবল উপজেলায় দুটি, নবীগঞ্জে ছয়টি, বানিয়াচঙ্গে ৭টি, আজমিরীগঞ্জে ছয়টি, হবিগঞ্জ সদর তিনটি, লাখাই তিনটি, শায়েস্তাগঞ্জে দুটি, চুনারুঘাটে দুটি ও মাধবপুর দুটি রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী- প্রতিটি যন্ত্র চারপাশের ১০৮ মিটার এলাকায় বজ্রপাত নিরোধ ও তথ্য সংরক্ষণ করবে। কোটি কোটি টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও মাঠে এর কার্যকারিতা আছে কি না তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এ পর্যন্ত যন্ত্রগুলো কতটি বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট অফিসে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষা করতে হলে শুধু এরেস্টার বসিয়ে হবে না। এর সঙ্গে দরকার সচেতনতা বাড়ানো। হাওড়পাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্রসহ বজ্রপাত সহনশীল আশ্রয়কেন্দ্র যেন নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন

আপডেট সময় ০১:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৫ বছরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সরকারি তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনই কৃষক—অর্থাৎ মোট মৃত্যুর প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সর্বশেষ ১২ মে লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ৭০ বছরের আজগর আলী। এর আগের দিন আজমিরীগঞ্জের ডেমিকান্দি গ্রামের যুবক সাজু মিয়াও বজ্রপাতে প্রাণ হারান। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষকরা।

বিশেষ করে বোরো মৌসুমে ধান কাটতে হাওড়ে যাওয়া কৃষকরা বজ্রপাত আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি বছরই জেলার কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। হতভাগ্যদের বেশির ভাগই হাওড়ে ধান কাটতে যাওয়া কৃষক বা শ্রমিক।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়- ২০২১-২২ অর্থবছরে বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি লাইটনিং এরেস্টার (বজ্রনিরোধক যন্ত্র) বসানো হয়। এতে ব্যয় হয় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় ৩৩টি এরেস্টার স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

এরমধ্যে বাহুবল উপজেলায় দুটি, নবীগঞ্জে ছয়টি, বানিয়াচঙ্গে ৭টি, আজমিরীগঞ্জে ছয়টি, হবিগঞ্জ সদর তিনটি, লাখাই তিনটি, শায়েস্তাগঞ্জে দুটি, চুনারুঘাটে দুটি ও মাধবপুর দুটি রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী- প্রতিটি যন্ত্র চারপাশের ১০৮ মিটার এলাকায় বজ্রপাত নিরোধ ও তথ্য সংরক্ষণ করবে। কোটি কোটি টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও মাঠে এর কার্যকারিতা আছে কি না তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এ পর্যন্ত যন্ত্রগুলো কতটি বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট অফিসে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষা করতে হলে শুধু এরেস্টার বসিয়ে হবে না। এর সঙ্গে দরকার সচেতনতা বাড়ানো। হাওড়পাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্রসহ বজ্রপাত সহনশীল আশ্রয়কেন্দ্র যেন নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।”