নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের জামাইয়ের সন্ধান পেতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন এক শাশুড়ি। ওই জামাতার নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে।

শুক্রবার (১৬ মে) উপজেলার জোনাইল বাজারে জনসমক্ষে শাশুড়ি আনোয়ারা এ ঘোষণা দেন। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে ও সিয়াম হোসেনের স্ত্রী বড়াইগ্রাম থানায় তাঁর নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী শাশুড়ি জানান, ‘চার বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে দোলন গ্রামের সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাতা আমার বাড়িতেই থাকত। সিয়াম জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারি দোকানে কাজ করা অবস্থায় গত রমজান মাসে দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায়। সিয়ামের শাশুড়ি আরও জানান, সিয়াম একটি মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এদিকে, সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে মর্মে আমার ও জুয়েলারি দোকানের মালিকের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও জানান, আমরা গরিব মানুষ। নাতনি ও মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। নাতনি বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। জুয়েলারি দোকান মালিক চুরি হওয়া রুপা ফেরত চেয়ে চাপ সৃষ্টি করেছেন।

আবার জামাতার মা অভিযোগ করেছেন। আমরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। তাই যদি কেউ আমার এ জামাতার সন্ধান দিতে পারেন, তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। এদিকে, সিয়ামের মা বিষয়টিকে নাটক উল্লেখ করে জানান, আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বেয়াইন (সিয়ামের শাশুড়ি)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।