ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু: ডব্লিউএইচও

ফিলিস্তিনের গাজায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস।

গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, গাজায় কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই।

গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং ওই এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। আর যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এখনো সক্রিয়, সেগুলোর সক্ষমতাও প্রায় শেষ হতে চলেছে। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত মৃত, আহত, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরা। মর্গ উপচে পড়ছে। অবেদন বা অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের সদস্যরা অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছেন। ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করেছেন। এরপর ইসরায়েল আকাশপথে হামলা চালায় গাজায়। পরে তারা স্থল অভিযানও শুরু করে।

গেব্রেয়াসুস বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা এবং পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ওপর ২৫০টিরও বেশি আক্রমণের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে ডব্লিউএইচও। অন্যদিকে ইসরায়েলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর ২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে, যদিও হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গাজার শিশুরা কী অবস্থার মধ্য আছে। ছোটবেলায় আমারও এ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার এখন সর্বোত্তম উপায় হলো, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। তাঁদের ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া এবং হাসপাতালগুলো সচল রাখতে জেনারেটরের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু: ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস।

গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, গাজায় কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই।

গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং ওই এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। আর যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এখনো সক্রিয়, সেগুলোর সক্ষমতাও প্রায় শেষ হতে চলেছে। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত মৃত, আহত, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরা। মর্গ উপচে পড়ছে। অবেদন বা অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের সদস্যরা অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছেন। ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করেছেন। এরপর ইসরায়েল আকাশপথে হামলা চালায় গাজায়। পরে তারা স্থল অভিযানও শুরু করে।

গেব্রেয়াসুস বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা এবং পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ওপর ২৫০টিরও বেশি আক্রমণের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে ডব্লিউএইচও। অন্যদিকে ইসরায়েলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর ২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে, যদিও হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গাজার শিশুরা কী অবস্থার মধ্য আছে। ছোটবেলায় আমারও এ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার এখন সর্বোত্তম উপায় হলো, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। তাঁদের ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া এবং হাসপাতালগুলো সচল রাখতে জেনারেটরের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।