ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনদুর্ভোগ চরমে

১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র জনদুর্ভোগ চরমে

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪নং বেলকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি গত ১৭ বছর ধরে কার্যত অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবন, ব্যবহারের অযোগ্য টয়লেট এবং পানির চরম সংকট—সব মিলিয়ে এটি এখন রোগী নয়, বরং ময়লা-আবর্জনার ঠিকানায় রূপ নিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাসেবার বদলে এখন যেন পরিত্যক্ত একটি ভবন। টয়লেটের ভাঙাচোরা অবস্থা, দুর্গন্ধময় পরিবেশ এবং পানির কোনো ব্যবস্থাই না থাকায় রোগী ও কর্মচারীদের অন্যত্র গিয়ে প্রয়োজন মেটাতে হয়। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পরিবেশও হয়ে উঠেছে বসবাসের অনুপযুক্ত।

স্থানীয়রা জানান “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বলতেই লজ্জা লাগে। এখানে না আছে চিকিৎসা, না আছে ন্যূনতম সুস্থ পরিবেশ। রোগীর চেয়ে এখানে মশা-মাছিরই বেশি আনাগোনা, বছরের পর বছর ধরে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান পাননি। এখনো পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি

এলাকাবাসীর দাবি—এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়, সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হোক।

তারা আশাবাদী, এবার অন্তত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং জনদুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।

ট্যাগস :

১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনদুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় ০৭:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪নং বেলকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি গত ১৭ বছর ধরে কার্যত অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবন, ব্যবহারের অযোগ্য টয়লেট এবং পানির চরম সংকট—সব মিলিয়ে এটি এখন রোগী নয়, বরং ময়লা-আবর্জনার ঠিকানায় রূপ নিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাসেবার বদলে এখন যেন পরিত্যক্ত একটি ভবন। টয়লেটের ভাঙাচোরা অবস্থা, দুর্গন্ধময় পরিবেশ এবং পানির কোনো ব্যবস্থাই না থাকায় রোগী ও কর্মচারীদের অন্যত্র গিয়ে প্রয়োজন মেটাতে হয়। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পরিবেশও হয়ে উঠেছে বসবাসের অনুপযুক্ত।

স্থানীয়রা জানান “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বলতেই লজ্জা লাগে। এখানে না আছে চিকিৎসা, না আছে ন্যূনতম সুস্থ পরিবেশ। রোগীর চেয়ে এখানে মশা-মাছিরই বেশি আনাগোনা, বছরের পর বছর ধরে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান পাননি। এখনো পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি

এলাকাবাসীর দাবি—এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়, সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হোক।

তারা আশাবাদী, এবার অন্তত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং জনদুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।