দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড় ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার (১৪ মে) রাতে এ ঘোষণা দেন তারা। শিক্ষার্থীরা কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত, বাজেট বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ করেছে জবি শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন তারা। মিছিলটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হন কয়েকজন।
এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কিছু একটা ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর হবে।
উপদেষ্টা মাহফুজ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দ্রুতই প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির বিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনের বিষয়ে সরকার কথা শুনবে। কিছু হলেই যমুনায় চল, এমন আর হবে না। সরকার কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।