ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায়

হরিরামপুরে ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন

হরিরামপুরে ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

আপডেট সময় ০৬:০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।