ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিজানুর রহমান (৪৭) নামে এক ব্যবসায়ী কামরাঙ্গীরচরের বিএনপি নেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হাজি মনির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধরসহ চুরির অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মনির চেয়ারম্যানের কয়েকজন লোক তাকে মারধর ও লুটপাট চালিয়েছে। পারিবারিক জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে তার ও ছোট ভাই শামীমসহ অন্যান্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, যা বর্তমানে ঢাকার ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে (মোকদ্দমা নং- ৪৩/২০২৫) বিচারাধীন।

অভিযোগে বলা হয়, ১১ মে দুপুর আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে ২ নম্বর আসামি সামির তাকে বাসা থেকে ডেকে মায়ের দোয়া রেন্ট-এ-কার দোকানে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত ১ নম্বর আসামি বিএনপির নেতা হাজী মোঃ মনির হোসেন ওরফে মনির চেয়ারম্যান, নিজেকে “কামরাঙ্গীরচরের বিচারক” দাবি করে মামলার বিষয় সালিশে মেটানোর নির্দেশ দেন।

মিজানুর তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় ৪ নম্বর আসামি আব্দুল কাইয়ুম তার পকেট থেকে নগদ ৭,০০০ টাকা নিয়ে যান এবং ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির যন্ত্রপাতি, যার আনুমানিক মূল্য ৩৫,০০০ টাকা, চুরি করা হয়।

হামলার পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হলেও পরে সেই সিসিটিভি ডিভাইসও নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন এবং তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। এর আগে মনির চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:২৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিজানুর রহমান (৪৭) নামে এক ব্যবসায়ী কামরাঙ্গীরচরের বিএনপি নেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হাজি মনির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধরসহ চুরির অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মনির চেয়ারম্যানের কয়েকজন লোক তাকে মারধর ও লুটপাট চালিয়েছে। পারিবারিক জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে তার ও ছোট ভাই শামীমসহ অন্যান্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, যা বর্তমানে ঢাকার ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে (মোকদ্দমা নং- ৪৩/২০২৫) বিচারাধীন।

অভিযোগে বলা হয়, ১১ মে দুপুর আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে ২ নম্বর আসামি সামির তাকে বাসা থেকে ডেকে মায়ের দোয়া রেন্ট-এ-কার দোকানে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত ১ নম্বর আসামি বিএনপির নেতা হাজী মোঃ মনির হোসেন ওরফে মনির চেয়ারম্যান, নিজেকে “কামরাঙ্গীরচরের বিচারক” দাবি করে মামলার বিষয় সালিশে মেটানোর নির্দেশ দেন।

মিজানুর তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় ৪ নম্বর আসামি আব্দুল কাইয়ুম তার পকেট থেকে নগদ ৭,০০০ টাকা নিয়ে যান এবং ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির যন্ত্রপাতি, যার আনুমানিক মূল্য ৩৫,০০০ টাকা, চুরি করা হয়।

হামলার পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হলেও পরে সেই সিসিটিভি ডিভাইসও নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন এবং তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। এর আগে মনির চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।