ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি এবং আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বয়কটের ডাক Logo রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর Logo র‍্যাব পুনর্গঠনে কমিটি গঠন করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনীঃ পানিসম্পদ উপদেষ্টা Logo বাজেট না বাড়লে যমুনা অভিমুখে লং মার্চ: জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি Logo আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন Logo ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা

৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

দুই দিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ওপর আরোপিত শুল্ক ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তি কার্যকর থাকবে আগামী ৯০ দিন। জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল হিসেবে বিশ্ববাজারে শেয়ার সূচকে বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ‘ওয়াশিংটন ও বেইজিং কেউই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না।

তার এই মন্তব্য বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তার চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন, মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।

এই ঘোষণার পরপরই লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক লেনদেনের শুরুতে ১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায় এবং ওয়াল স্ট্রিটেও সূচকগুলো ৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দিনের শুরু করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনেভায় এক প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানান, উভয় পক্ষই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত তথাকথিত ‘স্বাধীনতা দিবস’-এর শুল্ক কাঠামোর ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বসানোর অংশটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সম্মত হয়েছে। এর আওতায় ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদক ফেন্টানিল সংক্রান্ত ২০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকছে।

এই ঘোষণার ফলে তেলের দাম ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে এবং ডলার অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যার ফলে ইউরো ২০২৫ সালের সবচেয়ে খারাপ দিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই সাময়িক চুক্তিকে বিশ্লেষকরা বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন, যা ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি এবং আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বয়কটের ডাক

৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

আপডেট সময় ০৪:৪৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

দুই দিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ওপর আরোপিত শুল্ক ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তি কার্যকর থাকবে আগামী ৯০ দিন। জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল হিসেবে বিশ্ববাজারে শেয়ার সূচকে বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ‘ওয়াশিংটন ও বেইজিং কেউই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না।

তার এই মন্তব্য বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তার চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন, মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।

এই ঘোষণার পরপরই লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক লেনদেনের শুরুতে ১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায় এবং ওয়াল স্ট্রিটেও সূচকগুলো ৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দিনের শুরু করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনেভায় এক প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানান, উভয় পক্ষই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত তথাকথিত ‘স্বাধীনতা দিবস’-এর শুল্ক কাঠামোর ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বসানোর অংশটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সম্মত হয়েছে। এর আওতায় ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদক ফেন্টানিল সংক্রান্ত ২০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকছে।

এই ঘোষণার ফলে তেলের দাম ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে এবং ডলার অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যার ফলে ইউরো ২০২৫ সালের সবচেয়ে খারাপ দিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই সাময়িক চুক্তিকে বিশ্লেষকরা বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন, যা ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে।