ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন,আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন সফল হওয়ার পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষে এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার (১২ মে) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসঙ্গে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভালো সাপোর্ট ছিল। আমার ধারণা যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না।

তিনি লেখেন, তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশসংখ্যক নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছে, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যাই হোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে!

তিনি আরও লেখেন, কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ আসছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাইনা, কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?!

পোস্টের সবশেষে রাশেদ লেখেন, জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও… এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মত দৌড় দিবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে আমার কোন মন্তব্য নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন

আপডেট সময় ১২:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন,আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন সফল হওয়ার পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষে এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার (১২ মে) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসঙ্গে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভালো সাপোর্ট ছিল। আমার ধারণা যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না।

তিনি লেখেন, তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশসংখ্যক নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছে, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যাই হোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে!

তিনি আরও লেখেন, কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ আসছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাইনা, কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?!

পোস্টের সবশেষে রাশেদ লেখেন, জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও… এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মত দৌড় দিবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে আমার কোন মন্তব্য নেই।