ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ Logo সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Logo ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার,রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি Logo স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা Logo জাবিতে মহিলা হলে বহিরাগত যুবক আটক Logo শীতে কাপছে পঞ্চগড়, একদিনে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে ৭.৯ ডিগ্রিতে নামল Logo একইস্থানে বিএনপির দু‘পক্ষের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল Logo যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

আমরা দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করেছি: কাদের

আমরা দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করেছি: কাদের

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চোরাগোপ্তা এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকার হটাতে চায়। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনের ব্যর্থতার এক পর্যায়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা এখন আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পরিবহন পোড়ানো ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অপতৎপরতার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আসলে এরা গণতন্ত্র চায় না। এরা নির্বাচন চায় না। আজকে তারা যে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততার অভাব।

আন্দোলনের ব্যর্থতাকে তারা চোরাগোপ্তার দিকে নিয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চোরাগোপ্তা আন্দোলন চালিয়ে তারা বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়—এটাই হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা যেটা সবার সামনেই পরিষ্কার। আমার দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। যে চ্যালেঞ্জটা এসেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির কাছ থেকে। এর আগেও তারা গণতন্ত্রে আঘাত এনেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্র নিয়ে যত কথাই বলুক, গণতন্ত্র কোথাও পারফেক্ট নয়। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক বড় বড় শক্তিগুলো, যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্র মানবাধিকারের প্রবক্তা ভাবেন… তাদের গণতন্ত্রেও অনেক ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। আমরা আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে অনেকটা ত্রুটিমুক্ত করেছি।

শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’— এই স্লোগান নূর হোসেন বুকে ও পিঠে লিখে রাজপথের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। নূর হোসেনের রক্ত গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করার লড়াইয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটা ছিল অনেকটা টার্নিং পয়েন্টের মতো। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনে অনেক বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা আমাদের দেশে অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করতে আমাদের দেশে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আপসহীন সংগ্রামের ভূমিকা পালন করেছিলেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান ধারণ করে মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন শহীদ নূর হোসেন।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ী ঘটনা। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করেছি: কাদের

আপডেট সময় ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চোরাগোপ্তা এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকার হটাতে চায়। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনের ব্যর্থতার এক পর্যায়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা এখন আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পরিবহন পোড়ানো ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অপতৎপরতার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আসলে এরা গণতন্ত্র চায় না। এরা নির্বাচন চায় না। আজকে তারা যে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততার অভাব।

আন্দোলনের ব্যর্থতাকে তারা চোরাগোপ্তার দিকে নিয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চোরাগোপ্তা আন্দোলন চালিয়ে তারা বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়—এটাই হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা যেটা সবার সামনেই পরিষ্কার। আমার দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। যে চ্যালেঞ্জটা এসেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির কাছ থেকে। এর আগেও তারা গণতন্ত্রে আঘাত এনেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্র নিয়ে যত কথাই বলুক, গণতন্ত্র কোথাও পারফেক্ট নয়। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক বড় বড় শক্তিগুলো, যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্র মানবাধিকারের প্রবক্তা ভাবেন… তাদের গণতন্ত্রেও অনেক ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। আমরা আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে অনেকটা ত্রুটিমুক্ত করেছি।

শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’— এই স্লোগান নূর হোসেন বুকে ও পিঠে লিখে রাজপথের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। নূর হোসেনের রক্ত গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করার লড়াইয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটা ছিল অনেকটা টার্নিং পয়েন্টের মতো। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনে অনেক বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা আমাদের দেশে অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করতে আমাদের দেশে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আপসহীন সংগ্রামের ভূমিকা পালন করেছিলেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান ধারণ করে মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন শহীদ নূর হোসেন।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ী ঘটনা। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।