ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক Logo যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচি পালন Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী ৩ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী ৩ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এদিন আদালতে তার দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার ট্যুরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান।

রিমান্ডে নেয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৭ মে রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে পুলিশের পোশাকে তাকে আটক করা হয় বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, মিজানুরকে ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

কাউন্টার টেরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদন সূত্রে জানা যায়, ‘Come Out for Save Gaza’ ও ‘Protest Rally’ নামের কর্মসূচির প্রচার চালান, যা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (টেকনো) ও ল্যাপটপ (লেনোভো) জব্দ করে বলে জানিয়েছে, যেখানে উগ্রপন্থী ও রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুত তাহারীর সংগঠনের সাথে জড়িত মর্মে জানান। আসামে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।

মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, “ওকে সেদিন রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

মামলার বিষয় জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলাটি আমি আসার আগে হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার থেকে ভালো বলতে পারবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী ৩ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ০৮:০০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এদিন আদালতে তার দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার ট্যুরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান।

রিমান্ডে নেয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৭ মে রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে পুলিশের পোশাকে তাকে আটক করা হয় বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, মিজানুরকে ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

কাউন্টার টেরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদন সূত্রে জানা যায়, ‘Come Out for Save Gaza’ ও ‘Protest Rally’ নামের কর্মসূচির প্রচার চালান, যা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (টেকনো) ও ল্যাপটপ (লেনোভো) জব্দ করে বলে জানিয়েছে, যেখানে উগ্রপন্থী ও রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুত তাহারীর সংগঠনের সাথে জড়িত মর্মে জানান। আসামে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।

মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, “ওকে সেদিন রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

মামলার বিষয় জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলাটি আমি আসার আগে হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার থেকে ভালো বলতে পারবে।