বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, এ দেশের ছাত্রজনতার বুকে গুলি করে, গণহত্যা চালিয়ে জনতার হাতে বিতাড়িত হওয়ার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রায় হয়ে গেছে। তবে জুলাই বিপ্লবের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই গণহত্যাকারী দলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো না কেন?
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
স্ট্যাটাসে সাদিক কায়েম বলেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরও রাজপথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ঢাকার সহযোদ্ধারা শরিক হোন যমুনার গণমিছিলে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এখনো বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের ১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। তার আহ্বানে সাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে যোগ দেন। রাত ২টায় যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া বিক্ষোভে যোগ দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরাও