ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে যুবকে কুপিয়ে হত্যা

সাভারে যুবকে কুপিয়ে হত্যা

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন রুবেল মন্ডল নামে এক যুবক।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের পারাগ্রামের দেওন এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুবেল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রুহুল আমিন মন্ডলের ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এলাকাবাসী রুবেলের নিথর দেহ একটি নির্জন স্থানে পড়ে থাকতে দেখে আশুলিয়া থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা তার নির্মম হত্যার সাক্ষ্য বহন করে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সকালে রুবেলকে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কিন্তু দুপুর নাগাদ তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। হঠাৎ তার মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পরপরই আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যার পেছনের কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকাহত হয়ে পড়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। অনেকেই এ ঘটনায় দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

কেরানীগঞ্জের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহিদুল হক গ্রেপ্তার

সাভারে যুবকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ১১:১১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন রুবেল মন্ডল নামে এক যুবক।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের পারাগ্রামের দেওন এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুবেল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রুহুল আমিন মন্ডলের ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এলাকাবাসী রুবেলের নিথর দেহ একটি নির্জন স্থানে পড়ে থাকতে দেখে আশুলিয়া থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা তার নির্মম হত্যার সাক্ষ্য বহন করে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সকালে রুবেলকে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কিন্তু দুপুর নাগাদ তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। হঠাৎ তার মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পরপরই আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যার পেছনের কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকাহত হয়ে পড়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। অনেকেই এ ঘটনায় দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।