সরকারবিরোধী আন্দোলনের এক দফা দাবিতে আগামী ১২ নভেম্বর (রোববার) ভোর ছয়টা থেকে ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ভোর ছয়টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধ ডেকেছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ ছাড়া, চলমান আন্দোলনে যেসব নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন এবং শ্রমিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আগামী শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি। বরাবরের মতো এবারও গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী পরিবহন অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তাদের ৩৬৫ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়েছে যাতে আসামি ১৫৬৩ জন। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। রোববার থেকে ডাকা অবরোধের আগে গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করেছে বিএনপি।
গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোট গুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়, যা আগামীকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হচ্ছে।