ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর Logo গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী Logo ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু Logo হজ করতে এসে আটকে পড়া ইরানিদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সৌদি আরব Logo বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক Logo সুন্দরগঞ্জে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ   ছাত্রশিবিরের Logo ইসরায়েলকে সহায়তার ব্যাপারে তিন দেশকে সতর্ক করলো ইরান Logo প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়াত

দেশের রাজনীতিতে তরুণদের আও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • মোশারফ
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • 83

দেশের রাজনীতিতে তরুণদের আও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে এবং নিজ নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদেরকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, না হলে তারা নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।”

নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদলে ছিলেন—সোশালিস্ট ইউথ লিগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফ’র আন্তর্জাতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য ফাউজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সভেনেবি, খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-সংযুক্ত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টকেল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট অঞ্চলের ইয়াং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলকেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও জানতে চান।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি।

তারা জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে ভুয়া ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।

দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘সেকেলে’ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—আগের রেখে যাওয়া বিশৃঙ্খলা পরিষ্কার করা।

ট্যাগস :

ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

দেশের রাজনীতিতে তরুণদের আও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৭:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে এবং নিজ নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদেরকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, না হলে তারা নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।”

নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদলে ছিলেন—সোশালিস্ট ইউথ লিগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফ’র আন্তর্জাতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য ফাউজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সভেনেবি, খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-সংযুক্ত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টকেল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট অঞ্চলের ইয়াং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলকেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও জানতে চান।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি।

তারা জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে ভুয়া ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।

দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘সেকেলে’ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—আগের রেখে যাওয়া বিশৃঙ্খলা পরিষ্কার করা।