ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্রে খরচ নিয়ে আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, মামলা

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্য পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে খরচ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অভিযুক্ত শাহিন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন শাহিনের ছোট ভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন।

সবুজ ও শাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য দল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ নেতা শাহিন ওই টাকার হিসাবে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

বুধবার রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা-কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদের শান্ত করেন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাদের দেখতে হাসপাতাল যান।

ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসাব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুসি মারেন। তখন তাকে আমাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, ‘দল থেকে কেন্দ্রে খরচের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শাহিন টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে মারধর করে।’

বক্তব্য জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্রে খরচ নিয়ে আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, মামলা

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্য পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে খরচ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অভিযুক্ত শাহিন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন শাহিনের ছোট ভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন।

সবুজ ও শাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য দল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ নেতা শাহিন ওই টাকার হিসাবে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

বুধবার রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা-কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদের শান্ত করেন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাদের দেখতে হাসপাতাল যান।

ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসাব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুসি মারেন। তখন তাকে আমাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, ‘দল থেকে কেন্দ্রে খরচের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শাহিন টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে মারধর করে।’

বক্তব্য জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।