বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে বগুড়ায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। পুলিশের উপস্থিতিতেই দেশীয় অস্ত্রসহ তারা সংঘর্ষে জড়ান।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই ঘটনা ঘটে।এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মারধরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহাসহ আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হরতাল ও অবরোধে ‘সহিংসতার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ৷ তবে বগুড়া ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরাজমান বিরোধকে কেন্দ্র করে সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পতাকা স্ট্যান্ডে সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজারের অনুসারীরা রড ও হকিস্টিক নিয়ে প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা আহত হন। পরে সজীব সাহার অনুসারীরাও রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে দেশীর অস্ত্র নিয়ে চাপাতি হাতে কয়েকজন যুবককে দেখা যায়। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের কোমরের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রায় আধাঘণ্টা সময় ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার প্রতিবাদে এখানে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ছাত্রলীগের কথিত একটি পক্ষ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে৷ এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের দোষর৷
অপরদিকে অপর গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান বলেন, এই কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ ও অযোগ্য। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।