ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ: ১৫ জন আটক

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রসেনার উদ্যোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক অবরোধের জেরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

৫ ই মে (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে নগরীর মুরাদপুর, দুই নাম্বার গেইট, বহদ্দারহাট, জিইসি, অক্সিজেন ও ওয়াসার মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রসেনার কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, “প্রায় ১০০-২০০ জন রাস্তা অবরোধ করেছিল। বারবার বুঝানোর পরও তারা সরেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।”

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, “পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও আমাদের ওপর হামলা করেছে। মাওলানা রইস হত্যার বিচার এখনো হয়নি। জুলাই আন্দোলনের পরও বৈষম্য রয়ে গেছে।”

এই ঘটনায় জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল সরাদেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকাল থেকেই সড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রামে যান চলাচল অচল হয়ে পড়ে। অফিসগামী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে নোয়াখালী কলেজে হামলা

চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ: ১৫ জন আটক

আপডেট সময় ১১:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রসেনার উদ্যোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক অবরোধের জেরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

৫ ই মে (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে নগরীর মুরাদপুর, দুই নাম্বার গেইট, বহদ্দারহাট, জিইসি, অক্সিজেন ও ওয়াসার মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রসেনার কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, “প্রায় ১০০-২০০ জন রাস্তা অবরোধ করেছিল। বারবার বুঝানোর পরও তারা সরেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।”

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, “পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও আমাদের ওপর হামলা করেছে। মাওলানা রইস হত্যার বিচার এখনো হয়নি। জুলাই আন্দোলনের পরও বৈষম্য রয়ে গেছে।”

এই ঘটনায় জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল সরাদেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকাল থেকেই সড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রামে যান চলাচল অচল হয়ে পড়ে। অফিসগামী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।