ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

কুষ্টিয়ায় গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

কুষ্টিয়ায় মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সদর উপজেলার আলামপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আটক এক আসামির দেওয়া তথ্য থেকে বাকি আসামিদের নাম পাওয়া যায়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।

ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নাম আরিফুল ইসলাম (৩২)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোষাধ্যক্ষ। আরিফুলের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইলিয়াস খান। একই মামলায় আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলামকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি দুই মাস ধরে ঢাকায় আছেন। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার পর অবরোধ চলাকালে সদর উপজেলার ভাদালিয়া বাজারে অবস্থান করছিলেন মামলার বাদী এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। এ সময় তিনি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বালিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মশাল দিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পান। পরে সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করা হলে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। এ সময় সেখান থেকে ইমরান হোসেন বাপ্পী নামের একজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৭টি বাঁশের লাঠি, ৩টি লোহার রড, পেট্রল ভরা ২টি কাচের বোতল, ৪টি মশাল লাঠি ও ২০টি ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গত সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলায় ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় তালিকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরিফুল ইসলামকে ১৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৯ সালে কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এরপর ২০১৭ সালে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ পাই। এখনো সেই পদে বহাল রয়েছি। এমনকি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর আসনে নিজ ওয়ার্ডে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছিলাম। সেই প্রমাণও আছে। তারপরও আমাকে নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

কুষ্টিয়ায় গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৩:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়ায় মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সদর উপজেলার আলামপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আটক এক আসামির দেওয়া তথ্য থেকে বাকি আসামিদের নাম পাওয়া যায়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।

ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নাম আরিফুল ইসলাম (৩২)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোষাধ্যক্ষ। আরিফুলের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইলিয়াস খান। একই মামলায় আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলামকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি দুই মাস ধরে ঢাকায় আছেন। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার পর অবরোধ চলাকালে সদর উপজেলার ভাদালিয়া বাজারে অবস্থান করছিলেন মামলার বাদী এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। এ সময় তিনি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বালিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মশাল দিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পান। পরে সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করা হলে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। এ সময় সেখান থেকে ইমরান হোসেন বাপ্পী নামের একজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৭টি বাঁশের লাঠি, ৩টি লোহার রড, পেট্রল ভরা ২টি কাচের বোতল, ৪টি মশাল লাঠি ও ২০টি ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গত সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলায় ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় তালিকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরিফুল ইসলামকে ১৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৯ সালে কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এরপর ২০১৭ সালে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ পাই। এখনো সেই পদে বহাল রয়েছি। এমনকি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর আসনে নিজ ওয়ার্ডে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছিলাম। সেই প্রমাণও আছে। তারপরও আমাকে নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে।