ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের প্রথম জামাত দরবার শরিফ মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ঈমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এছাড়াও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী মুসল্লীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য একটি। আলাদা করে কেনো ঈদ উদযাপিত হবে।

এদিকে ঈদের দ্বিতীয় জামাত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায় করেত আসা বৃদ্ধ আব্দুর রব বলেন, এখানে আমার বাবা-চাচারাও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এখন আমরাও একসঙ্গে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। আমাদের কাছে এটাই সঠিক নিয়ম মনে হয়।

রাসেল মুন্সি নামের আরেক মুসল্লী বলেন, সাদ্রা দরবার শরিফে আমি ২৫ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করছি। এই এলাকার না হলেও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী হিসেবে আমরা আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন করি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১১:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের প্রথম জামাত দরবার শরিফ মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ঈমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এছাড়াও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী মুসল্লীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য একটি। আলাদা করে কেনো ঈদ উদযাপিত হবে।

এদিকে ঈদের দ্বিতীয় জামাত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায় করেত আসা বৃদ্ধ আব্দুর রব বলেন, এখানে আমার বাবা-চাচারাও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এখন আমরাও একসঙ্গে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। আমাদের কাছে এটাই সঠিক নিয়ম মনে হয়।

রাসেল মুন্সি নামের আরেক মুসল্লী বলেন, সাদ্রা দরবার শরিফে আমি ২৫ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করছি। এই এলাকার না হলেও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী হিসেবে আমরা আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন করি।