ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দোস্ত এইডের খাদ্য সহায়তা বিতরণ Logo হাতিয়ায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী কে সিঙ্গেল ডিজিট সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির Logo পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে অনশন, অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী Logo বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, বজ্রসহ ভারী বর্ষণের আভাস Logo যারা আগে আ‘মী লীগে ছিলেন, তাদের বিএনপিতে আসা নিয়ে কেউ যেন হাসি-ঠাট্টা না করে Logo বিএনপি ভাঙার মিশন:জিএম কাদেরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে এনায়েত Logo চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব শক্রতার জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo যারা হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে চলছিলো তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : সরওয়ার Logo কুমিল্লায় চোর সন্দেহে যুবককে আটকে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন Logo যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ জন

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরল এনসিপি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। সংগঠনটি বলছে, নারী কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারী মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

আজ সোমবার ০৫ মে রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে।

২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত হয় ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন’, যা ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল প্রস্তাবনা পেশ করে। এর পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত হয়েছে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’, যার আওতাভুক্ত ছয়টি সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ঐকমত্য কমিশনের আওতায় ছিল না। ফলে এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল পূর্ব আলোচনা বা মতামত প্রদানের সুযোগ পায়নি।

আমরা লক্ষ করছি যে, এই কমিশনের প্রস্তাবনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন মাত্রার আলোচনা ও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দের মধ্যে সমাজের সব অংশের নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে বলে এনসিপি মনে করে না। সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং সব নাগরিকের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নীতি প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

এতে আরো বলা হয়, নারী কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারী মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোতে সব প্রতিনিধিত্বশীল অংশীজনদের সাথে গঠনমূলক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবনার সমালোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ থেকে নারীদের প্রতি প্রকাশ্যে যে শ্লেষাত্মক ও অমর্যাদাকর বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এনসিপি। বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে তো বটেই বিশেষত জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সকল শ্রেণী, পেশা, ধর্ম, বর্ণের নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের ফলে পনের বছরের জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদ থেকে জাতির মুক্তি ঘটেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দোস্ত এইডের খাদ্য সহায়তা বিতরণ

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরল এনসিপি

আপডেট সময় ০৩:০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। সংগঠনটি বলছে, নারী কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারী মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

আজ সোমবার ০৫ মে রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে।

২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত হয় ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন’, যা ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল প্রস্তাবনা পেশ করে। এর পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত হয়েছে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’, যার আওতাভুক্ত ছয়টি সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ঐকমত্য কমিশনের আওতায় ছিল না। ফলে এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল পূর্ব আলোচনা বা মতামত প্রদানের সুযোগ পায়নি।

আমরা লক্ষ করছি যে, এই কমিশনের প্রস্তাবনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন মাত্রার আলোচনা ও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দের মধ্যে সমাজের সব অংশের নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে বলে এনসিপি মনে করে না। সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং সব নাগরিকের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নীতি প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

এতে আরো বলা হয়, নারী কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারী মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোতে সব প্রতিনিধিত্বশীল অংশীজনদের সাথে গঠনমূলক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবনার সমালোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ থেকে নারীদের প্রতি প্রকাশ্যে যে শ্লেষাত্মক ও অমর্যাদাকর বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এনসিপি। বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে তো বটেই বিশেষত জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সকল শ্রেণী, পেশা, ধর্ম, বর্ণের নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের ফলে পনের বছরের জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদ থেকে জাতির মুক্তি ঘটেছে।