ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ আখ্যা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই বক্তব্যকে তারা অসহযোগিতামূলক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী গত সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। তিনি তাঁর বক্তব্য নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে মুজিবুলের দেওয়া হুমকির বিষয়টি গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ওঠে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের পাওয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এই ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তাঁরা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গ ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বেদান্ত প্যাটেল।

একই সাংবাদিক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ক্ষমতাসীন দলের ‘একতরফা’ নির্বাচনের চেষ্টা এবং বিরোধীদের গ্রেপ্তার নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করেন। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলবেন না। তবে তাঁরা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করেন না। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা হলো, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সে জন্য তাঁরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ

পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ আখ্যা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের

আপডেট সময় ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই বক্তব্যকে তারা অসহযোগিতামূলক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী গত সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। তিনি তাঁর বক্তব্য নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে মুজিবুলের দেওয়া হুমকির বিষয়টি গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ওঠে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের পাওয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এই ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তাঁরা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গ ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বেদান্ত প্যাটেল।

একই সাংবাদিক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ক্ষমতাসীন দলের ‘একতরফা’ নির্বাচনের চেষ্টা এবং বিরোধীদের গ্রেপ্তার নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করেন। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলবেন না। তবে তাঁরা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করেন না। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা হলো, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সে জন্য তাঁরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন